ধর্মশালা থেকে মোহালির দূরত্ব খুব বেশি নয়। আড়াইশো কিলোমিটারের মতো। জায়গা বদলে কি দলের খেলাতেও বদল আসবে? শ্রীলঙ্কা শিবির তা মনে করছে না। দলের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা আশাবাদী, ধর্মশালার মতো পারফরম্যান্স দেখা যাবে এখানেও। সিরিজ জেতার এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তাঁরা।
মোহালিতে দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে নামার আগের দিন মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক পেরেরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সিরিজটা জেতার এটাই সেরা সুযোগ আমাদের সামনে। ভারতে এসে ভারতকে সিরিজে হারিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব বেশি দলের নেই। আমরা যদি ধর্মশালার মতো খেলতে পারি, তা হলে সিরিজ জিততে পারব।’’
তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ১-০-য় এগিয়ে থাকা দলের অধিনায়কের কথায় এমন আত্মবিশ্বাস থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই মোহালিতে এসে পৌঁছনোয় তাঁরা ঠিকমতো অনুশীলনই করতে পারলেন না। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ধর্মশালায় এক দিন বেশিই থাকতে হয় শ্রীলঙ্কা দলকে। একেই সিরিজ জয়ের তাগিদ, তার ওপর এই পরিস্থিতি চাপ বাড়িয়ে তুলেছে কি না, জানতে চাইলে পেরেরা বলেন, ‘‘চাপ নেই। আমাদের কাছে আরও একটা ম্যাচ। সবাই জানি, কাল জিতলে সিরিজেও জিতব। আমরা কাল নিজেদের দুশো শতাংশ দেব।’’
আরও পড়ুন: বিরাট, দু’দিকই কিন্তু সামলে চলতে হবে, পরামর্শ আজহারের
বুধবার মোহালিতে একই দল নামানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। ভারত যে দ্বিতীয় ম্যাচেই পাল্টা মার দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে, তাও অবশ্য মাথায় রাখছেন তাঁর শিবিরের ক্রিকেটাররা। পেরেরা বলেন, ‘‘ওরা পাল্টা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তেই পারে। এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে আমরা আমাদের কাজে মন দিতে চাই। টানা ১২টা ম্যাচে হারার পরে আগের ম্যাচে যে জয়ের রাস্তায় ফিরেছি আমরা, এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার। এই ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখতে চাই আমরা। ধর্মশালায় যে রকম খেলেছিলাম, সে রকম খেললে ম্যাচ ও সিরিজ আমরাই জিতব।’’
কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে খেলেছেন পেরেরা। তাই মোহালি তাঁর ঘরের মাঠের মতোই। পিচও চেনেন ভালই। বাইশ গজ নিয়ে বললেন, ‘‘ব্যাটিং সহায়ক পিচ মনে হচ্ছে।’’ যদিও দিনের বেশির ভাগ সময়ই পিচ ঢাকা ছিল আগের রাতে বৃষ্টি হওয়ায়। তবে একটা দুঃসংবাদও রয়েছে পেরেরাদের শিবিরে। ধনঞ্জয় ডিসিলভার চোট রয়েছে। বাকিরা সবাই সুস্থ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy