Advertisement
২০ মে ২০২৪

ভয় কাটালে সাফল্য আসবে, বার্তা মনোবিদের

স্বাধীনতার পরে প্রথম বার ১৯৮৯-৯০ মরসুমে রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলা। তার পর থেকে তিন বার ফাইনালে উঠলেও জিততে পারেননি মনোজ, লক্ষ্মীরতন শুক্লরা।

শিক্ষার্থী: নতুন মনোবিদের সঙ্গে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর ক্লাস মনোজদের। রবিবার সিএবি-তে। —নিজস্ব চিত্র।

শিক্ষার্থী: নতুন মনোবিদের সঙ্গে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর ক্লাস মনোজদের। রবিবার সিএবি-তে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১২
Share: Save:

আঠাশ বছরের রঞ্জি ট্রফি খরা কাটাতে মনোবিদের দ্বারস্থ হল বাংলার ক্রিকেট। রবিবার দুপুরে মুম্বই থেকে উড়ে আসা মনোবিদ মুগ্ধা বাভারের তত্ত্বাবধানে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর ক্লাস শুরু করলেন মনোজ তিওয়ারিরা।

স্বাধীনতার পরে প্রথম বার ১৯৮৯-৯০ মরসুমে রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলা। তার পর থেকে তিন বার ফাইনালে উঠলেও জিততে পারেননি মনোজ, লক্ষ্মীরতন শুক্লরা। ২০১৫ থেকে সাফল্য দিয়ে শুরু করেও বারবার শেষ মুহূর্তে খেই হারিয়ে ফেলেছে বাংলা। গত বারই যেমন রঞ্জি সেমিফাইনালে দিল্লির বিরুদ্ধে এক সেশনেই ঠিক হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। কিন্তু এ বার থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়লেও যাতে ক্রিকেটারেরা মানসিক শক্তিতে পিছিয়ে না পড়েন, সেই চেষ্টা শুরু করে দিল সিএবি।

কিন্তু এত দিন জাতীয় স্তরে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও কেন পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে মনোজদের? উত্তরে মনোবিদ মুগ্ধা বলেন, ‘‘দল থেকে বাদ পড়ার ভয়ই ক্রিকেটারদের পতনের মূল কারণ। ওদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল প্রত্যেকেই দল থেকে বাদ পড়ার দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। এই ভয়টা না কাটাতে পারলে কোনও কাজেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। তাই ক্রিকেটারদের মানসিক দৃঢ়তা ফেরানোর চেষ্টা করছি।’’

এর আগে মুম্বই রঞ্জি দলের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। বর্তমানে তিনি ‘অলিম্পিক গোল্ড কোয়েস্ট’ প্রকল্পের সঙ্গেও যুক্ত। ২০২০ অলিম্পিক্সের জন্য ভারতীয় অ্যাথলিটদের মানসিক ভাবে তৈরি করছেন মুগ্ধা।

মুম্বইয়ের পরে বাংলায় কাজ করতে এসে মুগ্ধা সে ভাবে কোনও ফারাক খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘মুম্বই অথবা বাংলা, দুই শিবিরের ক্রিকেটারদের মধ্যেই একটা সাধারণ সমস্যা রয়েছে। তাঁরা প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভোগেন। ব্যাটিং, বোলিং অনুশীলনের পাশাপাশি মানসিক ভাবে দৃঢ় হওয়ার পদ্ধতিও শিখে নেওয়া উচিত প্রত্যেকের।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘বাংলার ক্রিকেটারদের মধ্যে ট্রফি জেতার খিদে লক্ষ্য করেছি। এ বার সেই খিদে বাড়িয়ে তোলার দায়িত্ব আমার।’’ মুগ্ধার এই ক্লাস করার পরে দলের এক ক্রিকেটার বলেন, ‘‘ক্লাস করে খুব উপকৃত হলাম। দলের সঙ্গে একজন মনোবিদ থাকলে, তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অনেক সমস্যা মেটানো যাবে।’’ মুগ্ধা অবশ্য দলের সঙ্গে নিয়মিত থাকবেন না। মাঝে মাঝে এসে ‘ক্লাস’ নিয়ে যাবেন।

রবিবার দু’দফায় চলে মুগ্ধার ক্লাস। প্রথম দফায় দলের সবাইকে নিয়ে ও পরের দফায় আলাদা আলাদা করে কথা বলেন তিনি। ক্রিকেটারদের ভীতি কাটানোর জন্য অতীত ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে বারণ করেন তিনি। প্রতিদিন নতুন লক্ষ্য স্থির করতে বলা হয় প্রত্যেককে। দ্বিতীয় দফায় মনোজদের দু’টি দলে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রত্যেক ক্রিকেটারের সমস্যা আলাদা করে শোনেন তিনি। সোমবার দুপুরে অন্যান্য ক্রিকেটারদের সমস্যার কথা শুনবেন বাংলার নতুন এই মনোবিদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE