ছন্দে ফিরছেন মৌমা। —ফাইল চিত্র
মাত্র ১৫ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছিলেন টেবিল টেনিসের সিনিয়র জাতীয় প্রতিযোগিতায়। সবাইকে অবাক করে পৌঁছেছিলেন ফাইনালে। টেবিল টেনিসে আবার চমক দিলেন বাংলার মৌমা দাস। এ বার হারালেন নিজের অর্ধেক বয়সি প্রতিযোগীকে। কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা দিয়া চিতালেকে হারালেন ৩৮ বছর বয়সি মৌমা।
গুজরাতে জাতীয় গেমসে বাংলার হয়ে খেলছেন মৌমা। সেখানেই মহারাষ্ট্রের দিয়াকে হারিয়েছেন তিনি। মৌমার জয়ের ফলে মহিলাদের বিভাগে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলা। শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলা।
১৮ বছরের দিয়ার বিরুদ্ধে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান মৌমা। অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করেননি। দিয়ার দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তাঁকে সমস্যায় ফেলেন। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সব রকম পরিকল্পনা করে নেমেছেন তিনি। এই জয় মৌমাকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
দীর্ঘ দু’দশক ধরে ভারতের হয়ে খেলেছেন মৌমা। ৭৫-এর বেশি দেশের বিরুদ্ধে ৪০০-র বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। পেয়েছেন প্রচুর পুরস্কার। ২০০০ সালে রাশিয়ায় প্রথম আন্তর্জাতিক পদক দিয়ে সেই যাত্রা শুরু। ২০১৫ সালে কমনওয়েলথ গেমসে রুপো জেতার পরে দেশের হয়ে টেবিল টেনিসে সর্বাধিক পদকজয়ী খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসেও মণিকা বাত্রাকে সঙ্গে নিয়ে রুপো জিতেছেন।
২০১৩ সালে পেয়েছেন অর্জুন পুরস্কার। ২০২১ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী। শরথ কমলের (২০১৯) পরে দ্বিতীয় টেবিল টেনিস তারকা হিসাবে এই পুরস্কার পেয়েছেন মৌমা। ২০১৯ সালে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে টেবিল টেনিস থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। মেয়ে অদিত্রী হওয়ার পরেও দু’বছর খেলার বাইরে ছিলেন মৌমা। কিন্তু থেমে থাকতে রাজি নন মৌমা। দেশের হয়ে টেবিল টেনিসে আরও পদক জিততে চাইছেন। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। শূন্য থেকে শুরু করে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy