Advertisement
E-Paper

আজীবন নির্বাসন থেকে মুক্ত শ্রীসন্ত, ফিরতে চান মাঠে

তিন মাসের মধ্যে বোর্ডকে শ্রীসন্তের বক্তব্য শুনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। যা শুনে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই আশ্বাস দেন, ‘‘পরবর্তী সিওএ বৈঠকে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব।’’

 নিজস্ব প্রতিবেদন 

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪৬
ফের বল হাতে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা যাবে এস শ্রীসন্তকে?

ফের বল হাতে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা যাবে এস শ্রীসন্তকে?

ফের বল হাতে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা যাবে এস শ্রীসন্তকে? শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় পেসারের চিরনির্বাসন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার পরে এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে ক্রিকেট মহলে। শ্রীসন্ত ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া। আদালতের নির্দেশ পেয়ে ভারতীয় বোর্ড এখন তাঁর শাস্তি কমানোর বিষয়ে আলোচনায় বসতেও রাজি।

ছ’বছর আগে আইপিএল স্পট ফিক্সিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে চিরনির্বাসন দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। সেই কমিটিকেই এ বার কেরলের ক্রিকেট তারকার শাস্তি কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি অশোক ভূষণ ও কে এম জোসেফের বেঞ্চ। তিন মাসের মধ্যে বোর্ডকে শ্রীসন্তের বক্তব্য শুনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। যা শুনে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই আশ্বাস দেন, ‘‘পরবর্তী সিওএ বৈঠকে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব।’’

সোমবার সিওএ-র বৈঠক হওয়ার কথা। এই বৈঠকে আইসিসি-র কর্তাদের সঙ্গে বোর্ডের ডোপিং-বিরোধী নীতি নিয়ে আলোচনা হবে। এ বার এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ের তালিকায় শ্রীসন্তের শাস্তির প্রসঙ্গটিও যুক্ত হবে হয়তো। বোর্ডে যে হেতু এখন ওম্বাডসমান ও আদালত-বান্ধব দুইই রয়েছেন, তাই কেরলের পেসারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ দ্রুত হতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০০৭-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে মিসবা উল হকের ক্যাচ নিয়ে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। আদালতের এই রায় শুনে তিনি খুব খুশি। ৩৬ বছর বয়সি তারকা পেসার বলেন, ‘‘লিয়েন্ডার পেজ যদি ৪২-এও গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জিততে পারে, তা হলে আমিও এই বয়সে ক্রিকেট খেলতে পারি।’’ তবে মাঠে ফেরার পরে চেনা আগ্রাসী মেজাজে তাঁকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে নিজেই নিশ্চিত নন তিনি। বলেন, ‘‘জানি না এত বছর পরে আমার ভবিষ্যতে কী আছে। ক্রিকেট আমার জীবন। অথচ সেই ক্রিকেটই খেলিনি ছ’বছর।’’

স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে থাকার অভিযোগে শ্রীসন্ত ছাড়া মুম্বইয়ের স্পিনার অঙ্কিত চহ্বণ ও হরিয়ানার অজিত চান্ডিলাকেও চিরনির্বাসন দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকেই সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানান। শ্রীসন্ত কেরল হাইকোর্টে আবেদন জানালে প্রথমে নির্বাসন প্রত্যাহারের রায় দেয় এক জন বিচারপতির বেঞ্চ। পরে বোর্ডের পাল্টা আবেদনে সেই রায় ফের বদলে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এর বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শ্রীসন্ত। এবং সেই লড়াইয়ে তিনি শেষ হাসি হাসলেন।

আবেগে ভেসে এ দিন শ্রীসন্ত বলেন, ‘‘আমি ভাবতাম, আমার বাচ্চাদের কী কৈফিয়ত দেব। তারা আমার সম্পর্কে কী ভাববে? এখন অন্তত তাদের বলতে পারব যে, তাদের বাবা সব অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পেরেছে।’’

৩৬ বছর বয়সে ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে শ্রীসন্ত বলেন, ‘‘স্কটল্যান্ডে ক্লাব ক্রিকেট খেলতে চাই আমি। গত বছরে ওখানে খেলতে চেয়েও অনুমতি পাইনি। ছ’বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলিনি। তাই এ বার ইংল্যান্ডের ক্লাবে খেলতে পারব না।’’

চরম দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য স্ত্রী ভুবনেশ্বরী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে ধন্যবাদ দেন শ্রীসন্ত। বলেন, ‘‘যখন সারা দুনিয়া আমার বিরুদ্ধে ছিল, তখন ওঁরা আমার পাশে ছিলেন। আমার বাবা-মাকেও অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে এই ছ’বছরে। বিশ্বাস করুন, সেই সময়ে জীবনটা মোটেই সহজ ছিল না আমাদের।’’

এখনও প্রাক্তন সতীর্থদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে শ্রীসন্তের। এমনকি, আইপিএলে যাঁর চড় খেয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি, সেই হরভজন সিংহও তাঁকে ফোন করেন বলে দাবি শ্রী-র। ‘‘অনেকের সঙ্গেই ফোনে বা হোয়াটস্যাপে যোগাযোগ আছে। ভাজ্জু পা (হরভজন), বীরুভাই (বীরেন্দ্র সহবাগ), সুরেশ (রায়না), রবিনের (উথাপ্পা) সঙ্গে প্রায়ই কথা হয়’’, বলেন শ্রীসন্ত। এ বার ফের তাঁদেরই একজন হয়ে উঠতে পারেন কি না তিনি, সেটাই দেখার।

Cricket Supreme Court of India Shanthakumaran Sreesanth Life Ban
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy