কোন পাঁচ জন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তা মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যে নির্বাচন করা হয়ে যাবে। তার পরেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু। তবে যে পাঁচ জনই যান না কেন তাঁরা যেন আগে থেকেই তৈরি থাকেন তার জন্য এখন থেকেই আনন্দের কাছে প্রস্তুতি শুরু করেছেন সূর্যশেখররা।
এশিয়ান গেমস নিয়ে কী বললেন বাংলার দাবাড়ু ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ ১২ বছরের অপেক্ষা শেষে ফের এক বার এশিয়ান গেমসে ফিরছে দাবা। চিনের হাংঝাউয়ে এশিয়ান গেমসে দাবা থেকে পদকের আশা করছে ভারত। প্রাথমিক ভাবে যে দল তৈরি করা হয়েছে তাতে রয়েছেন বাংলার দ্বিতীয় তথা ভারতের নবম গ্র্যান্ড মাস্টার সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দের হাত ধরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
আনন্দবাজার অনলাইনকে সূর্য বললেন, ‘‘প্রাথমিক দল ঠিক করা হয়েছে। সেখানে আমি আছি। এর মধ্যে আনন্দের কাছে দু’টো ক্লাসও করেছি। যে দলই শেষ পর্যন্ত যাক না কেন, আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।’’ এই ধরনের টুর্নামেন্টে আগে থেকে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না বলেই মনে করেন সূর্য। তিনি বললেন, ‘‘আমরা জেতার বিষয়ে আশাবাদী। তবে আগে থেকে কিছু বলা যায় না। ম্যাচের সময় যে ভাল খেলবে সে জিতবে। তবে আমাদের প্রস্তুতি ভাল হচ্ছে।’’
ভারত থেকে কোন পাঁচ জন এশিয়ান গেমসে প্রতিনিধিত্ব করবেন তা নির্বাচন করার দায়িত্বে তিন সদস্যের যে নির্বাচক কমিটি রয়েছে তার সদস্য বাংলার প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রধান প্রতিপক্ষ চিন। তবে কোনও বিশেষ দেশকে প্রতিদ্বন্দ্বী মানতে নারাজ সূর্য। তিনি বললেন, ‘‘কোনও দেশের নাম আলাদা ভাবে নেব না। অনেক কঠিন দেশকে হারিয়েছি। আবার অনেক সময় অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে। তবে এটুকু বলতে পারি যে আমাদের সেরাটা দিতে পারলে যে কোনও দেশকে হারাতে পারি।’’
এ বার দলের মেন্টর করা হয়েছে আনন্দকে। তিনি খেলবেন না। তবে দাবাড়ুদের প্রস্তুতি ও প্রয়োজনে তাদের সব রকমের সাহায্য করবেন। তিনি থাকায় বাড়তি সুবিধা ভারত পাবে বলেই মনে করেন সূর্য। তিনি বলেন, ‘‘আনন্দ থাকায় মানসিক ভাবেও অনেক সাহায্য পাবে দাবাড়ুরা। আনন্দের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’’
কোন পাঁচ জন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তা মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যে নির্বাচন করা হয়ে যাবে। তার পরেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু। তবে যে পাঁচ জনই যান না কেন তাঁরা যেন আগে থেকেই তৈরি থাকেন তার জন্য এখন থেকেই আনন্দের কাছে প্রস্তুতি শুরু করেছেন সূর্যশেখররা। কারণ শুধু পদক নয়, সোনা জিততে চাইছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy