Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

অর্জুনে লক্ষ্যভেদের দোরগোড়ায় স্বপ্না

শনিবার সন্ধ্যের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও স্বপ্নাকে শুভেচ্ছা জানানোর পর্ব শুরু হয়। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারও বিভিন্ন সোশ্যাল মি়ডিয়ায় জানিয়ে দেন, স্বপ্না অর্জুন পেতে পারেন।

স্বপ্না বর্মণ।—ফাইল চিত্র।

স্বপ্না বর্মণ।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩২
Share: Save:

অর্জুন পাওয়ার দোরগোড়ায় জলপাইগুড়ির মেয়ে স্বপ্না বর্মণ। দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মানগুলি কারা পাবেন, তার প্রাথমিক বাছাই করার কমিটি রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই কমিটি শনিবারের দ্বিতীয় বৈঠকে অর্জুন পুরস্কারের ক্ষেত্রে স্বপ্নার নাম প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণা না হলেও, বাছাই কমিটির সুপারিশের কথা জানাজানি হয়ে গিয়েছে। সে খবর পৌঁছেছে জলপাইগুড়িতে। স্বপ্নার গ্রাম কালিয়াগঞ্জেও। এশিয়াডে হেপ্টাথলনে সোনা জেতার বছরখানেক হতে চলল। তবুও স্বপ্নাকে ঘিরে বাসিন্দাদের আবেগ অটুট। এখনও ছুটিতে মেয়ে বাড়ি ফিরলে ভিড় করেন গ্রামবাসীরা। সে-ই মেয়ে এ বার দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান পেতে চলেছে, খবর পেয়ে খুশি কালিয়াগঞ্জ।

শনিবার সন্ধ্যের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও স্বপ্নাকে শুভেচ্ছা জানানোর পর্ব শুরু হয়। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারও বিভিন্ন সোশ্যাল মি়ডিয়ায় জানিয়ে দেন, স্বপ্না অর্জুন পেতে পারেন। অভিনন্দনও জানান স্বপ্নাকে। জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক কুমার দত্ত বলেন, “স্বপ্না বর্মণ যদি অর্জুন পুরস্কার পান, তা হলে তিনি হবেন জলপাইগুড়ি জেলার প্রথম অর্জুন পুরস্কার প্রাপক। তা হলে এটা জলপাইগুড়িবাসীর কাছে বিরাট প্রাপ্তি হবে। আমাদের গর্বের বিষয় হবে।’’

লোকমুখে খবর পৌঁছেছে স্বপ্নার বাড়িতেও। এক পড়শি এসে মিষ্টিও খাইয়ে গিয়েছেন সকলকে। স্বপ্নার মা বাসনাদেবী বলেন, “অনেকেই পুরস্কারের কথা বলছেন। সোনা পাওয়ার পরেও আমার মেয়ে একই রকম ভাবে কঠিন অনুশীলন করে চলেছে।” বরাবরই মেয়ের খেলার প্রতি আলাদা ভাবে যত্নবান মা বাসনা। সেই ছোটবেলায় মেয়ে যখন জলপাইগুড়ির স্কুলে পড়ত, তখন গ্রাম থেকে শহরে কয়েক কিলোমিটার সাইকেলে চাপিয়ে তাকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসতেন মা। তখন থেকেই তিনি স্বপ্নার খেলাধুলো নিয়ে অনেক বেশি সরব। মেয়ে যে এত দূর গিয়েছেন, তার জন্য মায়ের অবদান যথেষ্ট, সেটা মেয়ে নিজেও স্বীকার করেছেন বারবার।

এক পড়শি বলছিলেন মেয়ের এশিয়াডে সোনা জেতার দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া মায়ের কান্নার দৃশ্যের কথা। চিৎকার করে ঠাকুরের থানে গিয়ে কেঁদে গড়িয়ে পড়েছিলেন বাসনাদেবী। সেই মায়ের চোখে শনিবারের সন্ধ্যেতেও জল দেখেছেন পরিজনেরা। অর্জুন পুরস্কারের বাছাইয়ে নাম উঠতে তিনি খুশি। বলেছেন, “মেয়ের ভাল কিছু শুনলে আবেগ চেপে রাখতে পারি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

2019 Arjuna Awards Swapna Barman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE