চ্যাম্পিয়ন: আমিই সেরা। হেপ্টাথলনে সোনা জিতে এ কথাই যেন সবাইকে বুঝিয়ে দিতে চাইছেন বাংলার স্বপ্না বর্মণ। বুধবার জাকার্তায়। রয়টার্স
অক্টোবরের শেষে জার্মানি যাচ্ছেন স্বপ্না বর্মণ। তাঁর বিশেষ জুতোর মাপ দিতে। যে কিট প্রস্তুতকারক সংস্থা সোনার মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছে তারা সঙ্গে চাইছে তাঁর কোচ সুভাষ সরকারকেও। যা খবর তাতে দু’পায়ে ছয় আঙুলের মেয়ের জার্মানি যাওয়ার কথা ৩০ অক্টোবর।
তবে নতুন জুতোয় স্বপ্না কতটা সফল হবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কোচের মনেই। জলপাইগুড়ি থেকে ফোনে সুভাষবাবু বলছিলেন, ‘‘আট বছর ধরে যে জুতো পরে অনুশীলন করছে সেটা রপ্ত করে ফেলেছে। এখন নতুন জুতোয় কী হবে ঈশ্বর জানেন।’’
এশিয়াডে হেপ্টাথলনে সোনা জেতা মেয়ে পুজো কাটিয়েছেন তাঁর জলপাইগুড়ির বাড়িতেই। তাঁর কোচের সঙ্গেই সেখানে গিয়েছেন তিনি। সুভাষবাবুর বাড়ি থেকে তাঁর ছাত্রীর বাড়ি কিছুটা দূরে। সেখান থেকেই ছাত্রীকে নিয়মিত নজরে রাখছেন তিনি। জলপাইগুড়ি থেকে ফোনে সুভাষবাবু বলছিলেন, ‘‘আমি ওকে জগিং করতে বলেছি। সেটা শুরু করছে। সামনের সপ্তাহে বাংলার বাইরে দুটো অনুষ্ঠানে যেতে হবে ওকে। সেখান থেকে ফিরে জার্মানি যেতে হতে পারে।’’
কিন্তু জাকার্তা থেকে ফিরে এখনও অনুশীলনে নামেননি স্বপ্না। ডাক্তারদের পরামর্শে তাঁকে কোনও অস্ত্রোপচার করতে হয়নি। সেজন্যই দ্রুত তাঁকে মাঠে ফেরাতে চান সুভাষ। বলছিলেন, ‘‘নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে স্বপ্নাকে অনুশীলনে নামাব। ডাক্তাররা পরমার্শ দিয়েছেন শুরুতে বেশি ভার না বাড়াতে। সেই মতো সূচি তৈরি করছি বিভিন্ন ইভেন্টের।’’ ছাত্রীকে স্প্রিন্ট ইভেন্টে আরও শক্তিশালী করার জন্য অ্যাকাডেমির খোঁজ করছেন সুভাষ। বলছিলেন, ‘‘স্বপ্না যে ইভেন্টগুলোতে পয়েন্ট কম পাচ্ছে সেগুলো উন্নত করা দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy