দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৫ রানে থামিয়ে দেওয়ার পর উল্লসিত নেপালের ক্রিকেটারেরা। ছবি: সংগৃহীত।
১৯তম ওভারে আনরিখ নোখিয়াকে যখন সোমপাল কামি ১০৩ মিটারের ছক্কায় মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন, তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, ক্রিকেট মাঠে নেপালকে আগে থেকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে না। টি-টেয়েন্টি বিশ্বকাপে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ বলে মাত্র ১ রানে জিততে হল। মাত্র দু’ইঞ্চির জন্য রান আউট হয়ে যান নেপালের গুলশন ঝা।
নেপাল জিতলে বিশ্ব ক্রিকেটে এটি সর্বকালের অন্যতম সেরা অঘটন হত। তারা বুঝিয়ে দিল, আমেরিকার মতোই ক্রিকেটে এখন নতুন চমক নেপাল।
শনিবার টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় নেপাল। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। নেপাল ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৪ রানে থামে।
বাঁহাতি স্পিনার তাবরাইজ শামসি না থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকা এই ম্যাচ জিততে পারত না। চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচের সেরা হন। নেপালের কুশল ভুর্তেল, আশিফ শেখ, অনিল শাহেরা যখন ব্যাট করছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের একেবারেই সাধারণ মানের মনে হয়েছিল।
এঁদের মধ্যে সেরা ছিলেন আশিফ শেখ। তিনি ৪৯ বলে ৪২ রান করেন। ত্রয়োদশ ওভারে কাগিসো রাবাডাকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দেন তাঁদের হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না। শাহ ২৪ বলে ২৭ রান করেন। আশিফের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ভুর্তেল ২১ বলে ১৩ রান করেন।
ভুর্তেলের বোলিংয়ের জন্যই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা সুবিধা করতে পারেননি। এই লেগ স্পিনার চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। দীপেন্দ্র সিংহ আইরি ৩ উইকেট নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রিজা হেনড্রিকস (৪৩) এবং ট্রিস্টান স্টাবস (২৭) ছাড়া কেউ ভাল রান পাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy