স্টিভ স্মিথের হাতে ভয়ঙ্কর ‘চারমূর্তি’। সত্তরের দশকের ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সেই ত্রাস সৃষ্টিকারী ‘ফিয়ারসাম ফোরসাম’-এর মতো। সে যুগে ছিলেন অ্যান্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল ও জোয়েল গার্নার। সে রকম ভয়াবহ না হলেও বলা হচ্ছে এ যুগের এই চার ফাস্ট বোলারও আগুন ছোটাতে পারেন— মিচেল স্টার্ক, জস হেজেলউড, প্যাট কামিন্স, জেমস প্যাটিনসন। অস্ট্রেলিয়ার চারমূর্তি।
কিন্তু হাতে এই চার বিধ্বংসী পেস বোলার থাকতেও তাঁদের একসঙ্গে মাঠে নামানোর উপায় নেই স্মিথের। অন্তত শুক্রবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁদের প্রথম ম্যাচে তো নয়ই। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নামার আগে স্মিথ সেটা জানিয়েও দিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে বলে দিলেন, ‘‘কাল সকালের আবহাওয়া দেখে চূড়ান্ত এগারো বেছে নেব।’’
রবিবার যেখানে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। সেই বার্মিংহামেই শুক্রবার আর এক ডার্বি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে। কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় এই কথা বলছেন স্মিথ। দলের চার পেসারকে নিয়ে প্রশ্নে অজি অধিনায়ক বলেন, ‘‘চার পেসারকে একসঙ্গে নামাব বলে মনে হচ্ছে না। দলে একাধিক অলরাউন্ডার রয়েছে। তাদের কাজে লাগাতে হবে।’’
আরও পড়ুন: বীরুর আবেদনে নাটকীয় মোড় কোচ কাজিয়ায়
অস্ট্রেলীয় মিডিয়ার ধারণা, জেমস প্যাটিনসনের প্রথম এগারোয় থাকার সম্ভাবনা কম। স্টার্ক, হেজেলউড ও কামিন্সই হয়তো খেলবেন। জন হেস্টিংস ও মার্কাস স্টয়নিসের মধ্যে কেউ একজন হয়তো এগারোয় থাকবেন। স্মিথ বলেন, ‘‘নিউজিল্যান্ডে গত সিরিজে স্টয়নিস খুব ভাল খেলেছিল। আর এই কন্ডিশনে হেস্টিংস খুব ভাল খেলেছে।’’ তাই এঁদের সম্ভাবনাই বেশি হয়তো। এ বছরের শুরুতে ইডেন পার্কে একই ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে ও ১৪৬ রান করে নজর কেড়েছিলেন স্টয়নিস। সেই দলের বিরুদ্ধেই তাই তাঁকে নামানোর কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়া শিবির। আইপিএলে কেকেআরের হয়ে ভাল পারফরম্যান্স করা ব্যাটসম্যান ক্রিস লিনের জায়গাও প্রায় পাকা। তবে মিডল অর্ডারে। কারণ, ওপেন করতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে অ্যারন ফিঞ্চেরই যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়ায় খবর।
অস্ট্রেলীয়দের মতো অবশ্য নিউজিল্যান্ড শিবিরেও আগ্রাসী বোলারের অভাব নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy