পোর্ট এলিজাবেথে ইতিহাস সৃষ্টি করে বিরাট কোহালি উচ্ছ্বসিত কিন্তু ভেসে যেতে নারাজ। বলে দিচ্ছেন, ‘‘আমি খুব খুশি। আরও একটা দারুণ পারফরম্যান্স। দলগত প্রচেষ্টার ফল। ইতিহাস সৃষ্টি করতে পেরে ভাল লাগছে। ছেলেদের এই মুহূর্তটা প্রাপ্য।’’ এক নিঃশ্বাসে ভারত অধিনায়ক আবার এটাও বলে দিচ্ছেন যে, সিরিজ জিতলেও তাঁরা ময়নাতদন্তে বসবেন। ‘‘আমাদের এই গ্রুপ বিশ্বাস করে জিতলেও বিশ্লেষণ দরকার, কোথায় আমরা আরও উন্নতি করতে পারি। বিশেষ করে ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমরা নিশ্চয়ই বসব ভবিষ্যতের রাস্তা ঠিক করার জন্য। আপাতত এটা বলতেই হবে যে, ৪-১ স্কোরলাইনটা দারুণ এবং আমরা সবাই এটা উপভোগ করছি।’’
ভারত অধিনায়ক আরও মনে করছেন, ওয়ান্ডারার্সের বিপজ্জনক পিচে শেষ টেস্ট জেতাটাই টার্নিং পয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকায় মঙ্গলবার রাতে তৈরি করা ইতিহাসের মঞ্চ ওখানেই তৈরি হয়ে ছিল। ‘‘ওই টেস্ট জয়টা আমাদের পাল্টে দিয়েছে। তারই ভাল প্রভাব দেখা যাচ্ছে ওয়ান ডে সিরিজে,’’ বলে দিচ্ছেন বিরাট। সিরিজ জিতে যাওয়ার পরে কি শেষ ম্যাচে বাকিদের সুযোগ দেওয়া হবে? কোহালি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। ‘‘আমরা ৫-১ জিততে চাই তো বটেই। তবে বাকিদের সুযোগ দেওয়ার কথাটা নিশ্চয়ই ভাবা হবে।’’
ম্যাচের সেরা রোহিত শর্মা বলে গেলেন, ‘‘প্রথম তিন জন রান করলে বাকিদের কাজ সহজ হয়ে যায় ঠিকই। শিখর আর বিরাট রান করছিল। আজ আমার পালা ছিল। আমি জানতাম, রান আসবেই।’’ জানালেন, উইকেট পরের দিকে মন্থর হয়ে আসছিল। যখন রান পাচ্ছিলেন না, চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন নিজেকে ইতিবাচক রাখার।
আরও পড়ুন: ৭৩ রানে প্রোটিয়া বধ করে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় ভারতের
তবে সিরিজ জয়ের আনন্দে পোর্ট এলিজাবেথে ভারতীয় সমর্থকদের গর্জনের মধ্যে সব চেয়ে প্রভাবিত করে গেল অধিনায়কের আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষা এবং আগ্রাসী মন্তব্য। ‘‘সিরিজে একটাই দলের উপর হার বাঁচানোর চাপ ছিল। সেটা দক্ষিণ আফ্রিকা।’’ কে বলবে, গত পঁচিশ বছরে এখানে জেতেনি ভারত!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy