Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
ভুটানে শেষ চারে বাগান

লাল কার্ড দেখলেন টিডি

যে জিতবে সেই শেষ চারে যাবে। ফলে যা হওয়ার তাই হল। চারটে লাল কার্ড, অসংখ্য ফাউল আর হলুদ কার্ড, তিন গোল-- সব মিলিয়ে থিম্পুর হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় চরম উত্তেজনার পারদ ছিল মোহনবাগান-নাখোন রাতচাসিমা ম্যাচকে কেন্দ্র করে! আর শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত ঝামেলার ম্যাচে অনায়াসেই জিতল সুভাষ ভৌমিকের দলই। যদিও বাগান কোচ এ দিন লাল কার্ড দেখলেন নিজেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:১৮
Share: Save:

মোহনবাগান ৩ (সোনি, পিয়ের বোয়া ২)

নাখোন রাতচাসিমা ০

যে জিতবে সেই শেষ চারে যাবে। ফলে যা হওয়ার তাই হল।

চারটে লাল কার্ড, অসংখ্য ফাউল আর হলুদ কার্ড, তিন গোল-- সব মিলিয়ে থিম্পুর হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় চরম উত্তেজনার পারদ ছিল মোহনবাগান-নাখোন রাতচাসিমা ম্যাচকে কেন্দ্র করে! আর শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত ঝামেলার ম্যাচে অনায়াসেই জিতল সুভাষ ভৌমিকের দলই। যদিও বাগান কোচ এ দিন লাল কার্ড দেখলেন নিজেই।

বৃহস্পতিবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ সোনি নর্ডির প্রাক্তন ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডি বনাম মোহনবাগানের খেলা এখন নিতান্তই নিয়মরক্ষার। কারণ কলকাতা এবং বাংলাদেশের দু’টো টিম ইতিমধ্যেই শেষ চারে চলে গিয়েছে। তবে বাংলাদেশের টিমকে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই নক আউট পর্বে যেতে চায় বাগান। কিন্তু শেষ ম্যাচে বাগানের রিজার্ভ বেঞ্চে থাকবেন না কোনও কোচ। কারণ মঙ্গলবার নাখোন রাতচাসিমার বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখেছেন সুভাষ ভৌমিক এবং ব্রাজিলিয়ান ফিজিও গার্সিয়া দু’জনেই। তাই শেষ পনেরো মিনিট টিমের ম্যানেজার সঞ্জয় ঘোষকেই কোচের ভূমিকা পালন করতে হয়েছে। বাগান টিডি নাকি নিজের টিমের ফুটবলারদের গালাগাল করে লাল কার্ড দেখেন। গার্সিয়া লাল কার্ড দেখেন রিজার্ভ বেঞ্চে বসে চিৎকার করে উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য। অন্তত এমনটাই ফোনে দাবি করেছেন মোহনবাগানের ম্যানেজার সঞ্জয় ঘোষ।

শুধু বাগানের দুই কোচিং স্টাফই নন, এ দিন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাইল্যান্ডের ক্লাবের দুই ফুটবলারকেও।

সোনি নর্ডি, পিয়ের বোয়া, কাতসুমি বাগানের ত্রিফলা আক্রমণে ম্যাচের শুরু থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল নাখোন রাতচাসিমা। আর সোনিদের আটকাতে গিয়ে একের পর এক ফাউল করে বসেন তাইল্যান্ডের ক্লাবটির ফুটবলাররা। যার ফল হাতেনাতেও পান তাঁরা। বিরতির আগে এবং পরে দু’টি লাল কার্ড দেখে। নাখোন রাতচাসিমা ন’জন হয়ে যাওয়ার পরই পিয়ের বোয়ার জোড়া গোল। সোনি নর্ডি অবশ্য ম্যাচের একেবারে শুরুতেই বাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। ফ্রি-কিক থেকে বিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের দু’পায়ের ফাঁক দিয়ে দুরন্ত গোল করে।

এ দিনের ম্যাচ জিতে যাওয়ায় অবশ্য মোহনবাগানে স্বস্তির হাওয়া। মোহনবাগান এবং শেখ জামাল দুই টিমের পয়েন্টই চার (দুই ম্যাচ)। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকার জন্য সোনিরাই এই মুহূর্তে লিগ শীর্ষে রয়েছেন। স্বভাবতই সোনির প্রাক্তন টিমের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে কিছুটা হলেও মানসিক ভাবে এগিয়ে থাকবে বাগান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE