Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

তিন মাস পার, উদ্বোধনের পরেও চালু হল না স্টেডিয়াম

গত ২ মে মেদিনীপুরে এসে একটি ইন্ডোর ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প-সহ এই ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও একটি ডরমেটরির উদ্বোধন করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বর্ষা কালেই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ইন্ডোর স্টেডিয়ামের।

শুনশান: কাজ শুরু হয়নি ইন্ডোর স্টোডিয়ামে। —নিজস্ব চিত্র।

শুনশান: কাজ শুরু হয়নি ইন্ডোর স্টোডিয়ামে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ০৩:১৭
Share: Save:

উদ্বোধনের পর পেরিয়ে গিয়েছে তিন মাস। অথচ, ব্যাডমিন্টনের জন্য কাঠের পাটাতন তৈরির কাজই শুরু হয়নি এখনও! এমনই অবস্থা মেদিনীপুরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামের মধ্যে অবস্থিত ইন্ডোর স্টেডিয়ামটির।

গত ২ মে মেদিনীপুরে এসে একটি ইন্ডোর ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প-সহ এই ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও একটি ডরমেটরির উদ্বোধন করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বর্ষা কালেই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ইন্ডোর স্টেডিয়ামের। ফলে এখনও তার বেহাল অবস্থায় হতাশ জেলার খেলোয়াড়রা। ডরমেটরির অবস্থাও তথৈবচ। তিন মাস আগে উদ্বোধন হলেও আসবাবপত্র, বিছানা, চেয়ার, টেবিলের অভাবে ব্যবহার চালু হয়নি সেটি।

এই স্টেডিয়াম ও ডরমেটরির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থা। আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীর সাংসদ তহবিল থেকে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়। কাজের দায়িত্ব পায় পূর্ত দফতর। এর মধ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে দশ শয্যা বিশিষ্ট একটি ডরমেটরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছিল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ১১০ মিটার লম্বা ও ২২ মিটার চওড়া ভবনটি তৈরি হয়েছে। স্টেডিয়ামটি ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য ব্যবহৃত হবে বলেই সিদ্ধান্ত হয়। সেখানেই কাঠের পাটাতন দিয়ে ফ্লোর নির্মাণ ও শৌচালয়ের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। ফলে উদ্বোধনের পরেও ব্যবহৃত হচ্ছে না স্টেডিয়াম।

ব্যাডমিন্টন খেলার ফ্লোর সাধারণত তৈরি হয় সেগুন কাঠ দিয়ে। এর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর জন্য এক বিশেষ ধরনের রবারের উপর কাঠের পাটাতন বসানো হয়। এই স্টেডিয়ামে ৪৪x২০ ফুট মাপের একটি কোর্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। সূত্রের খবর, ফ্লোর তৈরির জন্য একটি টেন্ডার করবে পূর্ত দফতর। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিনয় দাসমাল বলেন, “টেন্ডার হওয়ার পর অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ফ্লোরটি তৈরি হবে। এ বিষয়ে কথা হয়েছে বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে। পূর্ত দফতরের সোশ্যাল সেক্টর বিভাগের মেদিনীপুর ডিভিশনের মুখ্য বাস্তুকার ধ্রুবপ্রতিম ঘোষ জানান, শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হবে। বিনয়বাবু আরও জানান, স্টেডিয়াম তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলেই ব্যাডমিন্টন কোচিং সেন্টার গড়ে তোলা হবে। ৮ থেকে ১১ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এখানে। ব্যাডমিন্টন ছাড়া অন্যান্য খেলার ব্যবস্থাও হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE