Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফিকরুর দিকে আঙ্গুল ওঠা শুরু হল

আবার সেই আলো কেলেঙ্কারি। আবার খেলা বন্ধ যুবভারতীতে। ছবি:শঙ্কর নাগ দাস। টুর্নামেন্টের শুরুতে যাদের দেখে মনে হচ্ছিল, এই টিমটাই চ্যাম্পিয়ন হবে। টানা চার ম্যাচে জয় না পেয়ে সেই দলেই এখন হতাশা। শুরু হয়ে গিয়েছে নাম না করে দোষারোপের পালাও!

তানিয়া রায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৪৫
Share: Save:

আবার সেই আলো কেলেঙ্কারি। আবার খেলা বন্ধ যুবভারতীতে। ছবি:শঙ্কর নাগ দাস।

টুর্নামেন্টের শুরুতে যাদের দেখে মনে হচ্ছিল, এই টিমটাই চ্যাম্পিয়ন হবে। টানা চার ম্যাচে জয় না পেয়ে সেই দলেই এখন হতাশা। শুরু হয়ে গিয়েছে নাম না করে দোষারোপের পালাও!

পরিসংখ্যান বলছে আট ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জিতেছে আটলেটিকো দে কলকাতা! স্বয়ং টিম মালিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যন্ত ম্যাচের পর বলে গেলেন, “আমাদের টিম খুব খারাপ খেলছে।”

মাতেরাজ্জির চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে কেন জিততে পারল না হাবাসের টিম? কেন এত খারাপ খেলল? চৌম্বকে চারটে কারণ তুলে আনছেন আটলেটিকোর কোচ এবং ফুটবলাররা।

এক) যুবভারতীর মাঠ এখন ভিলেন হাবাসের টিমের কাছে। টিমের আইকন লুই গার্সিয়া বলে গেলেন, “এই মাঠে খেলতে সমস্যা হচ্ছে। তাই জিততেও সমস্যা হচ্ছে। আজও পারলাম না’’

দুই) রেফারি প্রতাপ সিংহকেও দায়ি করছেন বোরহা, নাতোরা। যুবভারতী ছাড়ার আগে ‘মিক্সড জোন’-এ দাঁড়িয়ে বোরহা বললেন, “রেফারিং একেবারেই ভাল হয়নি। আমাদের টিমকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে রেফারির জন্যই।”

তিন) টিমের মধ্যে একটা বোঝাপড়ার অভাব হচ্ছে। গার্সিয়া বলে গেলেন, “আমরা ভাল খেলছি। কিন্তু বোঝাপড়ার একটা অভাব ছিল। কোথায় সেটা বুঝতে পারছি না।”

তবে শেষ যে কারণটা উঠে আসছে, সেটাই মনে হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

চার) গোলের সুযোগ তৈরি হলেও সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে আটলেটিকো। কেন?

টিমের কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বললেন, “খুব ভাল খেলেছে আমার টিম। আমরা লড়াই করেছি। গোলের সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু গোল করতে পারছে না আমার ছেলেরা।”

তিনি কি দলের একমাত্র স্ট্রাইকার ফিকরু তেফেরার দিকে আঙুল তুলছেন? হাবাসের কথা শুনে সেটা বোঝা না গেলেও হোফ্রে-বোরহাদের ইঙ্গিতে সেটা কিছুটা পরিষ্কার।

মিক্সড জোন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হোফ্রে বলছিলেন, “ফিনিশিংয়ে সমস্যা থেকে যাচ্ছে। গোল হচ্ছে না।” একটু দূরে দাঁড়িয়ে বোরহাও তাতে সায় দিলেন। “আমরা স্কোর করতে পারিনি। অথচ অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

ইথিওপিয়ান স্ট্রাইকার ইতিমধ্যেই সমর্থকদের কাছে হিরো হয়ে গিয়েছেন। চেন্নাইয়ানের এলানো ব্লুমার যেখানে আট ম্যাচে আট গোল করেছেন, সেখানে কলকাতার ফিকরু ছয় ম্যাচে করেছেন মাত্র তিন গোল। তার মধ্যে আবার একটা পেনাল্টি থেকে। এলানো, মাতেরাজ্জিদের বিরুদ্ধে এ দিনও তিনি হতাশ করলেন। গোয়ায় ঝামেলা করে নির্বাসিত হয়েছিলেন। নির্বাসন কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর থেকে ফিকরুর সেই পরিচিত ছন্দই যেন হারিয়ে গিয়েছে। অথচ গোলের জন্য যে ফিকরুর উপরই অনেকখানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে কলকাতা।

মঙ্গলবার নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে ম্যাচ। যে টিমকে গুয়াহাটিতে গিয়ে হারিয়ে এসেছিলেন ফিকরু-গার্সিয়ারা। জন আব্রাহামের টিমের বিরুদ্ধে জয় না পেলে কিন্তু শেষ চারে যাওয়া নিয়ে সমস্যা বাড়লেও বাড়তে পারে। সে কথা অবশ্য আকারে ইঙ্গিতে বলতে শুরু করেছেন গার্সিয়া, শুভাশিস, অর্ণবরা। স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে বোরহা অশঙ্কার সুরে বললেন, “পরের ম্যাচ জিততেই হবে। না হলে সমস্যা হতে পারে পরে।” একই কথা যেন রেকর্ডের মতোই বাজল গার্সিয়ার গলাতেও। “চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে না জিততে পারাটা হতাশার। আর পরের ম্যাচে নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পেতেই হবে। পিছনের টিমগুলো কিন্তু উঠে আসছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE