কোচের সঙ্গে ঝামেলার জেরে সমস্যায় মণিকা বাত্রা। ফাইল চিত্র
টোকিয়ো অলিম্পক্সে জাতীয় দলের মুখ্য প্রশিক্ষক সৌম্যদীপ রায়কে উপেক্ষা ও অপমান করার জন্য মণিকা বাত্রাকে শো-কজ করল সর্ব ভারতীয় টেবল টেনিস সংস্থা। বুধবার কার্যকরী কিমিটির আলোচনায় এই তারকার বিরুদ্ধে এমনই পদক্ষেপ নিলেন কর্তারা।
কেন তিনি জাতীয় দলের প্রশিক্ষককে অপমান করেছিলেন, সেই বিষয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে মণিকাকে লিখিত জবাব দিতে হবে। তাঁর জবাব সন্তোষজনক হলে এই যাত্রায় বেঁচে যেতে পারেন মণিকা। সেটা না হলে তাঁর কপালে আরও বড় শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে। এমনকি মণিকার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার থেকে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল সর্ব ভারতীয় টেবল টেনিস সংস্থা।
বুধবার বিকেলে জুম কলের মাধ্যমে কার্যকরী কমিটির বৈঠক আয়োজন করেছিলেন কর্তারা। সেই আলোচনার শেষে আনন্দবাজার অনলাইনকে সচিব অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মণিকা বাত্রার জন্য টেবল টেনিসে দেশের নাম উজ্জ্বল হলেও ও কিন্তু নিয়মের উর্ধে নয়। তাই ওকে আপাতত শো-কজ করা হল। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে গিয়ে ও কেন সৌম্যদীপ রায়কে অপমান এবং উপেক্ষা করল, সেই জবাব আগামী দশ দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। সেই জবাব কার্যকরী কিমিটির কাছে সন্তোষজনক হলে ভাল, সেটা না হলে ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে কার্যকরী কিমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে।”
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে দলের ম্যানেজার ও পরামর্শদাতা এমপি সিংহ ও সৌম্যদীপের রিপোর্টে মণিকার শৃঙ্খলাভঙ্গের কথা উঠে এসেছে। তাহলে কেন এ দিনের আলোচনায় মণিকার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া গেল না? অরুণের জবাব, “মণিকার আচরণ আমাদের মোটেও ভাল লাগেনি। এটা ঠিক। তবে ওর নিজস্ব মতামত জানানোর অধিকারও রয়েছে। তাই সর্ব ভারতীয় টেবিল টেনিস সংস্থা একপেশে সিদ্ধান্ত নিল না। আরও কয়েকটা দিন আমরা অপেক্ষা করতে চাই।”
এ বার থেকে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল সর্ব ভারতীয় টেবল টেনিস সংস্থা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দোহাতে বসবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। সেই জন্য খুব দ্রুত শিবির বসতে চলছে। এ বার থেকে শিবির ও প্রতিযোগিতায় কোনও খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত প্রশিক্ষককে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। সেটাও পরিষ্কার করে দিলেন অরুণ।
তিনি বলেন, “এ বারের অলিম্পিক্সে মণিকার ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। তাই এ বার থেকে জাতীয় দলের শিবির থেকে শুরু করে কোনও প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত কোচ আনতে পারবে না। একই সঙ্গে প্রতিটি খেলোয়াড়কে জাতীয় দলের শিবিরের শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে হবে। কোনও খেলোয়াড়ের পারবারিক সমস্যা ছাড়া সংস্থা আর কোনও অজুহাত মানবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy