উইকেট নেওয়ার পর জাদেজা। ছবি: রয়টার্স।
তাঁর বলের জাদুতেই ধরাশায়ী নিইজিল্যান্ড। সঙ্গী অশ্বিন। সেই জাদেজাই মনে করছেন, উইলিয়ামসনের উইকেটটাই ঘুরিয়ে দিল ম্যাচের মোর। এই বাঁহাতি স্পিনার কৃতিত্ব দিলেন তাঁর সতীর্থকেই। বলেন, ‘‘আমরা সবাই খুব ভাল করে জানি কেন ক্রিজে টিকে গেলে দীর্ঘ সময় ব্যাট করে যেতে পারে। পরিকল্পনাই ছিল ওকে আউট করতে হবে। অন্যরা যে দীর্ঘ সময় ইনিংসে টিকে থাকতে পারে না সেটাও সকলেই জানে। আমরা সকালে চার উইকেট তুলে নিয়েছিলাম সেটাই ছিল ম্যাচ বদলে দেওয়ার বোলিং।’’ অশ্বিনের বলে কিউই অধিনায়ক ক্লিন বোল্ড হতেই মানসিকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে ভারতীয় বোলাররা। অশ্বিনের বলে উইলিয়ামসনের আউট নিয়ে উচ্ছ্বসিত জাদেজা বলেন, ‘‘বলটা দারুণ ছিল। যেটা ব্যাটে-প্যাডে লেগে গিয়েছিল।’’
ম্যাচ শুরুর আগে অনেকক্ষমই কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় জাদেজাকে। পরে জাদেজা জানান কোচের থেকে ম্যাচের আগে তিনি অনেক টিপস পেয়েছেন। টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া কুম্বলের প্রভাব যে দলের বোলারদের পর থাকবে তা বলাই বাহুল্য। জাদেজা বলেন, ‘‘কোচ আমাকে শুকনো জায়গায় বল করতে বলেছিলেন। দিক ঠিক রাখার পাশাপাশি ক্রিজ থেকে দূরে রাখতে বলেছিলেন। অফ স্ট্যাম্পের জায়গায় প্রচুর পায়ের ছাপ থাকায় ব্যাটসম্যানের মনে প্রভাব ফেলবে।’’ কোচের কথা মেনেই সফল জাদেজা।
তবে পরিকল্পনা অনুযায়ীই কাজ করেছে ভারতের বোলিং। তেমনটাই মনে করছেন জাদেজা। বলেন, ‘‘আমরা বোলিংয়ে বিশেষ কিছু পরিবর্তন করিনি। আমরা জানতাম প্রথমেই এক উইকেট তুলে নিতে পারলে পর পর আরও দু’তিনটে উইকেট যাবেই। ওরা বড় শট খেলার চেষ্টা করবেই আর ভুল করবে। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে থেকে বল করছিলাম ওদের চাপে রাখার জন্য।’’
এক ইনিংসে ছ’জন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান এলবিডব্লু আউট হয়েছেন। এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। তবে এই পিচ এই পরিবেশ সবই পরিচিত। তাই বিশেষ কোনও পরিকল্পনার যে প্রয়োজন ছিল না তাও মেনে নিচ্ছেন তিনি। বলেন, ‘‘এই পিচে অনেক বছর ধরে খেলছি। অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬, ১৯এ এই পিচেই খেলেছি।’’
আরও খবর
তৃতীয় দিনের শেষে স্পিনের দাপটে ভাল জায়গায় ভারত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy