আইএসএলের দরপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। রাতে আইএসএল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে নোটিশ জারি করে।
আই লিগের ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসি নিলামের কাগজ জমা দিলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। কাগজপত্র তুলেও তা জমা দিল না তারা। দুই ক্লাবেরই দাবি ছিল, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি মুকুব করলেই দরপত্র জমা দেবে। সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে ৭ জুন কুয়ালা লামপুরের সভায় এএফসি কোনও বিশেষ নির্দেশ না দিলে বা আইএমজি-আর তাদের সিদ্ধান্ত বদল না করলে নিলামে যোগ দেওয়ার কোনও সুযোগ থাকল না কলকাতার দুই প্রধানের। তাদের এই মরসুমে আইএসএলে খেলাও তাই অনিশ্চিত। দিল্লি থেকে ফোনে ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ বললেন, ‘‘ওরা দরপত্র জমা দিয়েছে কী না আমি জানি না। ওটা দেখছে একটি পেশাদারি সংস্থা। ৭ জুনের পর জানতে পারব কারা দরপত্র জমা দিয়েছে। আইএমজি-আর যদি সিদ্ধান্ত বদলায় আলাদা কথা। কুয়ালা লামপুরে কিছু হলে হবে। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।’’
কলকাতা থেকে কোনও দরপত্র জমা না পড়লেও শোনা যাচ্ছে বেঙ্গালুরু, রাঁচি, হায়দরাবাদ ও আমদাবাদ থেকে দরপত্র জমা পড়েছে। এ দিকে নিলামে অংশ না নিলেও পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা ঠিক করতে শনিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ফের সভায় বসছেন দুই প্রধানের কর্মসমিতির সদস্যরা। এত দিন দুই ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা আলোচনা চালাচ্ছিলেন, এ বার ডাকা হচ্ছে ক্লাবের নির্বাচিত সব সদস্যকেই। দুই ক্লাবের ইতিহাসে যা কখনও হয়নি। সেখানে আইএফএ-র কর্তারাও থাকবেন। কুয়ালা লামপুরের সভায় কী বলা হবে তা-ও ঠিক করা হবে ওই সভায়।
আইএসএল এবং আই লিগ নিয়ে ডামাডোলের মধ্যে হঠাৎই ঢুকে পড়ল ফুটবলারদের সর্বভারতীয় সংগঠন প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার এফপিএআইয়ের পক্ষ থেকে টুইট করে সুনীল ছেত্রী, অর্ণব মণ্ডল-সহ দেশের সব ফুটবলারকে জানিয়ে দেওয়া হল, ‘যতক্ষণ না দুই লিগ নিয়ে কোনও মীমাংসা হচ্ছে, ততক্ষণ কোনও ভারতীয় ফুটবলার যেন কোনও ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি না করে এবং সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে।’
কুয়ালা লামপুরের সভায় অন্যদের সঙ্গে ডাকা হয়েছে ফুটবলার সংস্থার প্রতিনিধিদের। সেখানে গিয়ে কী বলা হবে ফুটবলারদের তরফ থেকে তা ঠিক করতে দু’তিন দিনের মধ্যেই কলকাতা বা মুম্বইতে আলোচনায় বসবেন ফুটবলার সংস্থার কর্তারা। মেহরাজউদ্দিনের ফুটবল অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করতে সংস্থার প্রেসিডেন্ট রেনেডি সিংহ এখন কাশ্মীরে। সেখান থেকে ফোনে তিনি বললেন, ‘‘আমি কুয়ালা লামপুর যাব ফুটবলারদের প্রতিনিধি হয়ে। তার আগে সবার সঙ্গে কথা বলে নিতে চাই। সবাইকে তাই বলেছি, আইএসএল এবং আই লিগের ফয়সলা না হলে কোনও চুক্তিতে সই না করতে।’’
রেনেডির সঙ্গে কথা বলে মনে হল, ভাইচুং ভুটিয়ার হাতে গড়া এই সংগঠন ফেডারেশনের হয়েই ব্যাট করবে এএফসি-র সভায়। কারণ ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলরা যেমন চাইছেন দু’টো লিগ মিশে না গিয়ে পাশাপাশি চলুক সেটাই চাইছেন রেনেডিরাও। দেশের প্রাক্তন এই তারকা মিডিও বললেন, ‘‘জেজে আইএসএল খেলবে আবার আই লিগও খেলবে, এটা চাই না। আমার মনে হয় তারকা ফুটবলাররা খেলুক আইএসএলে, অনূর্ধ্ব ১৯, ১৮-র ফুটবলাররা খেলুক আই লিগে। দুটো লিগ মিশে গেলে বহু ফুটবলার বেকার হয়ে যাবে। সেটা আমরা চাই না।’’ ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানকে আইএসএলে নেওয়া উচিত? রেনেডির জবাব, ‘‘এটা নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়াতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy