আন্তর্জাতিক হকি থেকে অবসর নিলেন ললিত কুমার উপাধ্যায়। রবিবার প্রো লিগের ম্যাচে বেলজিয়ামকে ৪-৩ ব্যবধানে হারায় ভারতীয় দল। এই ম্যাচের পরই অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন ৩১ বছরের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। শেষ হল তাঁর ১১ বছরের আন্তর্জাতিক হকি জীবন।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক হকিতে অভিষেক ললিতের। তখন থেকেই তিনি ছিলেন ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। টোকিয়ো এবং প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় দলে ছিলেন ললিত। অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ললিত সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক হকি থেকে অবসর নিচ্ছি। এটা এমন একটা দিন, যেটা সব খেলোয়াড়ের জীবনে আসে। সকলকে এই দিনটার মুখোমুখি হতে হয়। আমাকেও হল। দেশের হয়ে খেলতে পারাই আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি। সবচেয়ে বড় সম্মান এবং গর্ব। সব কিছুর জন্য সকলকে ধন্যবাদ।’’
আবেগঘন বার্তায় ললিত আরও লিখেছেন, ‘‘একটা ছোট্ট গ্রাম থেকে সীমিত সুবিধা নিয়ে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমার স্বপ্ন ছিল সীমাহীন। স্টিং অপারেশনের মুখোমুখি যেমন হয়েছি, তেমনই অলিম্পিক্সের পোডিয়ামেও দাঁড়িয়েছি। এক বার নয়, দু’বার দাঁড়িয়েছি। উন্নতি এবং চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ একটা পথ অতিক্রম করেছি। আমার শহর থেকে আমার আগের ২৬ বছর কেউ অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেননি। এই গর্ব আমার সারা জীবনের সঙ্গী।’’ ভারতীয় দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিংহকে আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘হকি আমাকে সব দিয়েছে। আর তুমি (হরমনপ্রীত) হলে হকির দেওয়া সেরা উপহার। তুমি আমার ভাই।’’ আলাদা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ধনরাজ পিল্লাই এবং প্রথম কোচ পরমানন্দ মিশ্রের প্রতি।
আরও পড়ুন:
দেশের হয়ে ১৭৯টি ম্যাচ খেলেছেন ললিত। আন্তর্জাতিক হকিতে ৪৫টি গোল রয়েছে তাঁর। ২০০৮ সালে ভারতীয় হকির দুর্নীতি নিয়ে করা একটি স্টিং অপারেশনে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। তাতে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ললিত। বাদ পড়েন জাতীয় শিবির থেকে। আবার ২০১০ থেকে নতুন উদ্যমে শুরু করেন। এই সময় তাঁর পাশে ছিলেন ধনরাজ। ২০২১ সালে অর্জুন পুরস্কার পান ললিত। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিএসপি অবশ্য আরও কিছু দিন খেলা চালিয়ে যেতে চান।