রিওয় এই জাহাজেই থাকবে মার্কিন বাস্কেটবল টিম।
রিও অলিম্পিক্স শুরু হওয়ার আগেই গেমস ভিলেজ নিয়ে অ্যাথলিটদের অসন্তোষ কম নয়। কোথাও খোলা বিদ্যুতের তার নিয়ে অশান্তি তো কোথাও শৌচাগার নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া দল তো হুমকিও দিয়েছিল অব্যবস্থা না ঠিক হলে তাঁরা গেমস ভিলেজে থাকবেই না। হোটেলে উঠবে। মার্কিন বাস্কেটবল দলের জন্য অবশ্য এ সব কোনও সমস্যাই নয়। অলিম্পিক্সের সবচেয়ে ধনী দল, যাদের অধিকাংশ সদস্যই কোটিপতি তারা অলিম্পিক্সে থাকার জন্য আস্ত একটা জাহাজই হাজির করে ফেলেছে রিওতে।
বিলাসবহুল ‘সিলভার ক্লাউড’ জাহাজটি রিওর বন্দরে পৌঁছেও গিয়েছে। বিশ্বের হাতে গোনা ছয় তারা জাহাজের মধ্যে সিলভার ক্লাউড অন্যতম। জাহাজটিতে একটি লাইব্রেরি, বিউটি সালোঁ, ক্যাসিনো, চারটি রেস্তোরাঁ আছে। জাহাজটির সুইটের ভাড়া সপ্তাহে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। ৫১৪ ফুট লম্বা জাহাজটির ৯টা ডেক আছে। যাত্রীবহন ক্ষমতা ২৯৬ জন। মার্কিন বাস্কেটবল টিম রিওতে পৌঁছনোর কথা ৩ অগস্ট। তার পর ৫০ জন অ্যাথলিট আর সাপোর্ট স্টাফদের এই জাহাজেই থাকার কথা। কিন্তু গেমস ভিলেজ ছেড়ে জাহাজেই কেন? মার্কিন বাস্কেটবল টিমের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ভিলেজে থাকব না ঠিক করেই নিয়েছিলাম। অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্য সেটা ভাল হবে না বলেই আমাদের ধারণা। প্লেয়ারদের মরসুমে প্রচুর খেলতে হয়েছে। এখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চায় সব প্লেয়ারই। তাই এই ব্যবস্থা।’’
এটাই অবশ্য প্রথম নয়। এর আগেও ২০০৪ আথেন্স অলিম্পিক্সে বিলাসবহুল জাহাজ কুইন মেরি টু-তে ছিল মার্কিন বাস্কেটবল দল। তার পর যদিও লন্ডন আর বেজিং অলিম্পিক্স চলাকালীন হোটেলে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু হোটেলে থাকার প্রধান সমস্যা হল সেখানে শোয়া-বসার ঝক্কি। বিশেষ করে বিছানার মাপের। মার্কিন বাস্কেটবল দলের মুখপাত্র বলেন, ‘‘হোটেল বলুন বা গেমস ভিলেজ বাস্কেটবল প্লেয়ারদের এই সমস্যাটা পোহাতেই হয়। বিছানাগুলো সাত ফুট লম্বা প্লেয়ারদের মাপের পাওয়া যায় না। অনেক সময় এ রকমও হয়েছে যে আমাদের প্লেয়ারদের বিছানার শেষে নিজের ব্যাগ-ট্যাগ দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়েছে। যাতে পা-টা অন্তত লাগেজের উপর রেখে বিশ্রাম নেওয়া যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy