Advertisement
E-Paper

আমিরকেও ভয় পাচ্ছেন না বিজেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০৫:৩৮
বিজেন্দ্র সিংহের সঙ্গে লড়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন আমির।

বিজেন্দ্র সিংহের সঙ্গে লড়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন আমির।

পাক বংশোদ্ভূত ইংরেজ বক্সার আমির খানকে চ্যালেঞ্জ করলেন অলিম্পিক্স ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় বক্সার বিজেন্দ্র সিংহ। অনেক দিন আগে থেকেই বিজেন্দ্র সিংহের সঙ্গে লড়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন আমির। শেষ ম্যাচের পরে তিনি বলেওছিলেন, ‘‘বিজেন্দ্র হয়তো আমাকে ভয় পাচ্ছে।’’ বৃহস্পতিবার তার জবাবে বিজেন্দ্র বলেন, ‘‘বাচ্চাদের সঙ্গে লড়াই করা বন্ধ করো। সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে লড়ে দেখাও।’’

বিজেন্দ্র আরও বলেন, ‘‘বেশির ভাগ সময়েই জুনিয়র বক্সারদের বিরুদ্ধে লড়ে আমির। এর আগেও নীরজ গোয়েলের বিরুদ্ধে লড়েছে। নীরজ আমার থেকে অনেক ছোট। আগেও এই কথা বলেছি, এখনও বলতে বাধ্য হচ্ছি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আমির যখন বলবে, তখনই ওর বিরুদ্ধে লড়তে যাব। কিন্তু ও তো শুনছেই না। বাচ্চাদের বিরুদ্ধেই লড়ে চলেছে,’’ হুঙ্কার বিজেন্দ্রর।

আমির ও বিজেন্দ্র কিন্তু দু’টি আলাদা বিভাগে লড়েন। ৬৩ কেজি থেকে ৬৬ কেজি বিভাগের মধ্যে লড়েন আমির। সে জায়গায় বিজেন্দ্র লড়েন ৭৩ কেজি থেকে ৭৬ কেজির মধ্যে। এই সমস্যার সমাধান কী করে করবেন বিজেন্দ্র? তাঁর উত্তর, ‘‘সমাধানের প্রচুর জায়গা রয়েছে। দ্রুত ওজন কমিয়ে ওর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি। পুরোটা না কমালেও কিছুটা তো কমাতেই পারি।’’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক স্নাইডারকে হারানোর আগে তাঁকে একেবারেই চিনতেন না বিজেন্দ্র। এমনকি কখনও তাঁর ম্যাচও দেখেননি। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন কোচের সঙ্গে বসে একটি ভিডিয়ো দেখার পরেই পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেন ভারতীয় বক্সার। বলছিলেন, ‘‘বক্সিংয়ের স্বর্গ যদি কোথাও থাকে, তা হলে তা অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওদের মুখে শোনা যায়, সব কিছুর শুরু এবং শেষ এই যুক্তরাষ্ট্রেই হয়। আমিও সে রকমই বিশ্বাস করতাম। তাই স্নাইডারের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন ভয় পাচ্ছিলাম। সে দিন রাতে কোচ আমাকে স্নাইডারের একটি ভিডিয়ো দেখায়। ম্যাচের দিন শুরুতে মনে হচ্ছিল না স্নাইডার খুব একটা বড় বক্সার। কিন্তু ওর একটি পাঞ্চ আমার মুখে লাগার পরে বুঝতে পারি ও কত বড় মাপের খেলোয়াড়। তখনই জেদ চেপে যায় আমার মধ্যে।’’

ভবিষ্যতে কী করবেন বিজেন্দ্র? তাঁর উত্তর, ‘‘আগামী ছয় মাসে দু’টি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করব। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে একটি। অন্যটি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ। যদিও বিপক্ষ ও স্থান এখনও ঠিক করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সেরা বক্সারদের এখন সময় নেই। ২০২০-র মধ্যে আন্তঃ মহাদেশীয় প্রতিযোগিতাও শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।’’

এ বার নিজের একটি বক্সিং ক্লাব খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেন্দ্র সিংহের। বলছিলেন, ‘‘দেশজুড়ে বক্সিংকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে চাই। সেটাই নিজস্ব বক্সিং ক্লাব খোলার সব চেয়ে বড় কারণ। এই প্রজন্মের ছেলে, মেয়েরা দ্রুত মাদকদ্রব্যের দিকে আকর্ষিত হয়। খেলাধুলো করার কোনও ইচ্ছেই দেখতে পাই না। তাদের যদি সাধারণ পথে নিয়ে আসা যায়। ভাবছি দিল্লিতেই শুরু করব। ১৫০ জন বক্সারকে নিয়ে কাজ চালাব। মাসে এক বার ক্লাবে গিয়ে দেখে আসব।’’

Boxing Vijender Sing Amir Khan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy