লড়াই: বল দখলের চ্যালেঞ্জ সুনীল ছেত্রীর। ফাইল চিত্র
প্রশ্ন: কিরঘিজস্তান-বধ করে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা তো নিশ্চিত করে ফেললেন?
সুনীল ছেত্রী: না না, ব্যাপারটা এত সহজ নয়। আমাদের এখনও চারটে ম্যাচ বাকি রয়েছে। তার মধ্যে দু’টো অ্যাওয়ে। অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে। আমাদের মূল লক্ষ্য, ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট অর্জন করা। কিরঘিজস্তানকে হারিয়েছি। এ বার যদি মায়ানমার ও ম্যাকাও-কে হারাতে পারি, তা হলে তিনটি হোম ম্যাচ থেকে নয় পয়েন্ট অর্জন করতে পারব। যতক্ষণ না সেই লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে, নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই।
প্র: যোগ্যতা পর্বে টানা চারটি ম্যাচ জিতেছেন। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম একশোটা দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। দুর্দান্ত উত্থানের রহস্য কী?
সুনীল: কোনও রহস্য নেই। আমরা একটা দল হিসেবে খেলছি বলেই সাফল্য পাচ্ছি। আমাদের দলে কেউ তারকা নয়। সিনিয়র-জুনিয়র সকলকেই সমান গুরুত্ব দেন কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। শুধু তাই নয়। আমরা কেউ কখনওই আত্মতুষ্ট হই না। কারণ, আমাদের যাত্রা সবে শুরু হয়েছে। এখনও অনেক দূর যেতে হবে। তার জন্য এই ছন্দটা ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
প্র: ফেডারেশন কাপে ডিএসকে শিবাজিয়ান্সের বিরুদ্ধে মারাত্মক চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। এত দ্রুত কী ভাবে মাঠে ফিরে এলেন?
সুনীল: আমার চোট পরীক্ষা করে ডাক্তার বলেছিলেন, চার সপ্তাহের আগে মাঠে ফেরা নাকি সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে এই ম্যাচটা আমি খেলতেই পারতাম না। কিন্তু আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। নিজেকে বলেছিলাম, সুনীল এই মুহূর্তে দেশের তোমাকে দরকার। তোমাকে মাঠে ফিরতেই হবে। ঈশ্বর এবং বাবা-মায়ের আশীর্বাদও হয়তো আমাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলেছে।
প্র: এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে আপনারা দুই বন্ধু— বিরাট কোহালি ও সুনীল ছেত্রী। একজন গোল করে ভারতকে জেতাচ্ছেন। আর একজন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। কিন্তু এত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনাদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে?
সুনীল: অবশ্যই। মঙ্গলবার রাতেই তো বার্মিংহাম থেকে টেক্সট করে বিরাট আমাকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মরণবাঁচন ম্যাচে ভারতের জয়ের পর আমিও অভিনন্দন জানিয়ে টেক্সট করেছিলাম বিরাটকে। আমাদের মধ্যে সবসময়ই যোগাযোগ থাকে।
প্র: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দেখেছিলেন?
সুনীল: পুরোটা দেখা হয়নি। কারণ, আমরা তখন ট্র্যাভল করছিলাম। কিরঘিজস্তান ম্যাচের জন্য মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলাম। এখন আর খেলা নেই। তাই ভারত বনাম বাংলাদেশ সেমিফাইনাল অবশ্যই দেখব। আশা করব, ভারত জিতে ফাইনালে উঠবে। এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিরাটের হাতেই উঠবে।
প্র: ফুটবল মরসুম তো শেষ। আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সুনীল: আপাতত দিন পনেরো টানা বিশ্রাম নিতে চাই। টানা এগারো মাস ধরে খেলছি। প্রচণ্ড ক্লান্ত।
প্র: লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ-রা ইবিজায় ছুটি কাটাতে ব্যস্ত। ভারতীয় ফুটবলের সেরা তারকা কোথায় যাচ্ছেন?
সুনীল: আমার ফুটবলার হয়ে ওঠার নেপথ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান বাবা ও মায়ের। তাই শুক্রবার ওঁদের নিয়ে হংকং যাচ্ছি। তার পরে ম্যাকাও যাব। সপ্তাহখানেক পরে ফিরব দেশে।
প্র: আগামী মরসুমে বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে আপনি আইএসএল খেলবেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান থাকবে না। এটা কতটা হতাশার?
সুনীল: এই মুহূর্তে এই বিষয়ে বলার মতো জায়গায় আমি নেই। কিরঘিজস্তান ম্যাচ নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত ছিলাম। তাই অন্য কোনও দিকে মন দেওয়ার সুযোগ পাইনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy