Advertisement
১৮ মে ২০২৪

চিন্নাস্বামীতে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই কোহালি, কার্তিকদের

শুক্রবারের হারের পরে চাপটা এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে কার্তিকদের। তিনটি জয় নিয়ে ছ’পয়েন্ট তাঁদের। লিগ পর্বে তাঁদের সাতটি ম্যাচ বাকি।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:২১
Share: Save:

কোটলায় হতাশার হারের পরে আজ, রবিবার বেঙ্গালুরু অভিযান। কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএলের সবচেয়ে কঠিন পর্বটি শুরু করছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) বিরুদ্ধে। যে ম্যাচ নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে নাইটদের শিবির।

শুক্রবারের হারের পরে চাপটা এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে কার্তিকদের। তিনটি জয় নিয়ে ছ’পয়েন্ট তাঁদের। লিগ পর্বে তাঁদের সাতটি ম্যাচ বাকি। হিসেব বলছে, প্লে অফ পর্বে যেতে এখন এই সাতটির মধ্যে পাঁচটিতে জিততেই হবে তাঁদের। গত চার বারের আইপিএলে দেখা গিয়েছে ১৬ পয়েন্ট না পেলে প্লে অফ নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তাই কোটলার হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঝাঁপাতে চান নাইটরা।

শুক্রবার লিগ তালিকার সবচেয়ে নীচে থাকা দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কাছে ৫৫ রানে হারার পরে কলকাতা নাইট রাইডার্স আপাতত লিগ তালিকার চার নম্বরে। সাতটি ম্যাচের মধ্যে এই নিয়ে চারটি ম্যাচে হারলেন দীনেশ কার্তিকরা। আর তিনটিতে হারলেই তাঁরা প্লে অফের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে যাবেন।

গত দু’বছরই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর দল হিসেবে নক আউট পর্বে পৌঁছেছিল কেকেআর। ২০১৫-য় ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করায় প্লে অফে উঠতে পারেনি তারা। ২০১৪-য় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ছিল দু’নম্বরে। সে বার অবশ্য ১৪ পয়েন্ট নিয়েও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স চার নম্বর দল হিসেবে প্লে অফে উঠেছিল। তবে সে বার ওপরের দিকের দলগুলো কম পয়েন্ট পাওয়ায় ব্যতিক্রম হয়। সাধারণত আট দলের লিগে ১৬-কেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ ধরা হয়। তাই এটাই এখন লক্ষ্য সবার।

বিরাট কোহালিদের মাথাতেও অবশ্য একই দুশ্চিন্তা। লিগ তালিকায় কার্তিকদের থেকেও খারাপ অবস্থা আরসিবি-র। ছয় ম্যাচে চার পয়েন্ট তাদের। মানে পরের আটটি ম্যাচের মধ্যে ছ’টি জিততেই হবে। তাই রবিবারের ম্যাচ দুই দলের কাছেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আরও স্পষ্ট করে বললে দুই দলের কাছেই এখন প্রতিটি ম্যাচ মরা-বাঁচার লড়াই। আগের ম্যাচে যে ভাবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জয় হাতছাড়া হয়েছে, তাতে বোলারদের ওপর ক্ষুব্ধ অধিনায়ক। ‘ফিনিশার’ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সে দিন ব্যাটে ঝড় তুলে ম্যাচ জিতিয়ে দেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। আরসিবি-র এবি ডিভিলিয়ার্সও সে দিন ব্যাটে ঝড় তুলে দলকে দুশোর উপর রান তুলতে সাহায্য করেন। কিন্তু বোলাররা সেই রান নিয়ে লড়াই করতে পারেননি। ধোনির সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হন তাঁরা।

তবে রবিবারের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কোহালিরা। শনিবার তাঁর দলের নির্ভরযোগ্য স্পিনার যুজবেন্দ্র চহালের কথায় তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত। চহাল এ দিন বলেন, ‘‘এখনও আটটা ম্যাচ বাকি আছে আমাদের। ২০১৫ ও ২০১৬-তেও আমরা লিগ তালিকায় নীচে থেকে উপরে উঠে এসেছিলাম। এ বারও আশা করি সে ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’’

রবিবার মুখোমুখি হওয়ার আগে কোহালিরা শক্তিশালী চেন্নাইয়ের কাছে হারলেও কার্তিকরা আটকাতে পারেননি দুর্বল দিল্লিকে। মুম্বইয়ের দুই তরুণ ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার ও পৃথ্বী শ-র ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই উড়ে যান তাঁরা। সেই হার নিয়ে কার্তিকের মন্তব্য, ‘‘আমরা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবেতেই খুব খারাপ করেছি। খুবই হতাশাজনক ফল এটা। আমরা ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলাম বলে মনেই হচ্ছিল না। এই ম্যাচে যা যা ভুল হয়েছে, সেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।’’

শনিবার বিকেলে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেই জয়ে ফেরার ছক কষা শুরু করে দিলেন কার্তিকরা। চিন্নাস্বামীতে কোহালিদের আটকানো যদিও সোজা নয়। যে দু’টি ম্যাচে জিতেছেন তাঁরা, দু’টিই ঘরের মাঠে। সেই জয়ের ধারা ফিরিয়ে আনতে যে মরিয়া আরসিবি, তা তো জানিয়েই দিলেন চহাল। তাঁকে টেক্কা দিতে রবিবার হাজির থাকবেন তাঁর ভারতীয় দলের সঙ্গী স্পিনার কুলদীপ যাদব। একে অপরের রহস্য ভালই জানেন তাঁরা। তাই এঁদের লড়াইটা জমে উঠতে পারে রবিবার রাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE