অ্যাডিলেডের নেটে। সোমবার। ছবি-বিসিসিআই
আর ২৪ ঘন্টা বাদেই মাঠে নামতে হবে। তাই মেজাজে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করলেন যুবরাজ সিংহ ও সুরেশ রায়না। সবার আগে মাঠেও নামলেন যেমন, তেমন নেটেও ঢুকলেন এক সঙ্গে। প্রথম দশ মিনিট বোলারদের একটু দেখেশুনে খেলার পর শুরু করলেন মারকাটারি ব্যাটিং। নেটে যেমন চনমনে, তেমনই প্র্যাকটিসের শেষে কথা বলার সময়ও। ‘‘গোটা ঘরোয়া মরসুমটাই তো খেলে এলাম। প্রচুর ম্যাচ প্র্যাকটিস নিয়ে এখানে এসেছি,’’ বললেন সুরেশ রায়না।
ভারতের তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের মতে, ‘‘মুস্তাক আলি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে খুব ভাল অবস্থায় আছি। আজ নেটেও ব্যাট করে বেশ ভাল লাগছে। সঞ্জয় বাঙ্গারের কাছ থেকে যেমন ভাল কিছু ইনপুট পেলাম, তেমন নেটে বোলাররাও খুব ভাল বল করেছে। দুর্দান্ত প্র্যাকটিস হল। আমি চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। প্রচুর রান পেতে চাই এখানে। পুরো সিরিজটার দিকেই আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি।’’
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে নিজের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রায়না বোর্ডের ওয়েবসাইটকে সোমবার বললেন, ‘‘টি ট-য়েন্টি ক্রিকেটে কারও ব্যক্তিগত ফর্মের চেয়ে টিমের মানসিকতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে তাজা মানসিকতা নিয়ে নামতে হয়। নতুন শট খেলার চ্যালেঞ্জটা নিতে হয়। যত প্র্যাকটিস করব, যত ম্যাচ খেলব, তত শটের বৈচিত্র বাড়বে। পুরোটাই উপভোগ করার ব্যাপার। তা হলেই ভাল খেলা সম্ভব।’’
অস্ট্রেলিয়ায় বড় বড় মাঠে রানিং বিটুইন দ্য উইকেটস এবং আঁটোসাঁটো ফিল্ডিংয়ের উপর জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন রায়না। তাঁর মতে, ‘‘আমাদের যথাসম্ভব ডট বল করতে হবে। সে জন্য ফিল্ডিংটা ভাল হওয়া খুব জরুরি। তেমন নিতে হবে খুচরো রানও। প্রচুর দৌড়তে হবে। শেষ ওয়ান ডে-তে যেমন ধোনি আর মণীশ খুচরো রানের উপর বেশি জোর দিয়েছিল। সে জন্যই দল জিততে পারল।’’
যুবরাজের দলে ফেরাটা ভারতীয় ব্যাটিংয়ে আগুন ফিরিয়ে আনতে পারে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে সবাই। এই ব্যাপারে রায়না মনে করেন, ‘‘আমি যুবরাজের বড় ফ্যান। ও যেমন মাঠে, তেমনই ড্রেসিংরুমে।
ওর কাছ থেকে শিখেওছি অনেক। আজ একসঙ্গেই ফিল্ডিং প্র্যাকটিস করলাম। ভাল অবস্থাতেই আছে।’’ শুধু যুবি বা তিনি নন, হরভজন, নেহরার মতো অভিজ্ঞ তারকাও আছে ভারতীয় দলে। এই ব্যাপারে রায়না বলছেন, ‘‘দলটার মধ্যে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের ভাল মিশ্রণ রয়েছে। ২০১১-র বিশ্বকাপে খেলা অনেকেই রয়েছে এই দলে। আমরা একসঙ্গে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। আমাদের ড্রেসিংরুম অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাসে ঠাসা। আশা করি এগুলো কাজে লাগবে।’’
ওয়ান ডে সিরিজে ভারতের ব্যাটিং দেখার পর রায়নার ধারণা, ‘‘ওয়ান ডে-তে বিস্ফোরক ওপেনিং জুটি, শক্তিশালী মিডল অর্ডার, প্রতি ম্যাচে তিনশোর উপর রান দেখেছি। ফল আমাদের পক্ষে না গেলেও আমরা পজিটিভ ক্রিকেট খেলেছি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে খুব ভাল ভাবে প্ল্যান করে খেলতে পারলে আমরা তিনটে ম্যাচই জিততে পারি। তাতে বিশ্বকাপের আগে দলটা একটা ভাল জায়গায় চলে আসবে।’’
রায়না শেষটাও করলেন আসল কথাটা বলেই। বললেন, ‘‘আসল কথাটা হল, আমাদের ভয়ডরহীন ক্রিকেটটা খেলতে হবে। ওয়ান ডে সিরিজে কী হয়েছে, সেটা ভুলে গিয়ে পজিটিভ মানসিকতা নিয়ে নামতে হবে।’’
রায়না বলছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর দল তা করে দেখাতে পারবে কি না, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy