অবিশ্বাস্য জয়! নিউজিল্যান্ডে প্রথম বার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সিরিজ জেতার পরও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির।
সুপার ওভারে রোহিত শর্মা পর পর ছয় মেরে জয় ছিনিয়ে আনতেই দৌড়ে মাঠে চলে এসেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা তখন বিধ্বস্ত। নির্ধারিত কুড়ি ওভারের ম্যাচে এক সময় জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল কিউয়িরা। শেষ চার বলে দরকার ছিল মাত্র দুই রান। কিন্তু মহম্মদ শামির দুরন্ত ওভারে টাই হয়েছিল ম্যাচ।
সেই সময় কেমন অবস্থা ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের? ম্যাচের শেষে অধিনায়ক বিরাট কোহালি বলেছেন, “আমার একসময় মনে হচ্ছিল যে আর আশা নেই। হারতেই চলেছি আমরা। কোচকে বলেও ছিলাম যে ওদের জেতা উচিতও। কেন উইলিয়ামসন যে ভাবে ব্যাট করছিল! ৯৫ করে ফেলেছিল ও। সেই সময় ওর উইকেট পেয়ে যাই আমরা। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অফস্টাম্পের বাইরে কয়েকটা বল করেছিল শামি। শেষ বলের আগে আমরা আলোচনা করেছিলাম যে স্টাম্পে বল লাগাতে হবে। কারণ, তা না হলে ওরা সিঙ্গলস পেয়ে যাবে। আর জিতে যাবে। শামি চেষ্টা করেছিল, সফলও হয়েছিল।” শামির শেয বলে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন রস টেলর। ফলে, টাই হয়েছিল ম্যাচ।
আরও পড়ুন: হিটম্যানের জোড়া ছয়, সুপার ওভারে নাটকীয় জয় ভারতের
আরও পড়ুন: আইপিএলে ভাল কিছু করলে বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিতে পারেন এঁরা
65(40) followed by 15(4) in #SuperOver.
— BCCI (@BCCI) January 29, 2020
Describe HITMAN's innings using an emoji. We'll start 🔥#NZvIND #TeamIndia pic.twitter.com/wAMjlEPvne
সুপার ওভারে ভারতকে করতে হত ১৮ রান। টিম সাউদির চার বলের পর ক্রিজে ছিলেন রোহিত শর্মা। দরকার ছিল ১০ রান। পর পর ছয় মেরে সিরিজ ৩-০ করেন রোহিত। কোহালি বলেছেন, “সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ড আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু অসাধারণ ব্যাট করল রোহিত। ও ক্লিন স্ট্রাইকার। তাই ওর বিরুদ্ধে বোলিংয়ের সময় বোলার যে চাপে থাকবে, তা জানতাম। তাছাড়া নিউজিল্যান্ডের হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ বেরিয়ে গিয়ে সুপার ওভার চলছিল। তাই ওদের উপর চাপ এমনিতেও ছিল।”
That's how we do it! 💪🏼💪🏼💪🏼 #NZvIND pic.twitter.com/Ej97E0ciLJ
— Virat Kohli (@imVkohli) January 29, 2020