ইডেনে আউট কোহালি। ছবি:উৎপল সরকার
ম্যাচ হেরেও অজুহাত দেওয়ার পক্ষে নন বিরাট কোহালি। ইডেনের উইকেট বা শেষ রাতের শিশির কোনও কিছু নিয়েই বিরক্তি নেই ভারত অধিনায়কের। বরং বললেন, ‘‘এমন ‘চ্যালেঞ্জিং’ উইকেটে আর কন্ডিশনে খেলা অভ্যাস করা উচিত আমাদের।’’ স্বীকারও করে নিলেন যে ৭৫ শতাংশ ব্যাটিং শক্তি নিয়ে এখন খেলছে তাঁর দল।
ইডেন-উইকেট নিয়ে বিতর্ক, নাটক এখন ভারতের ম্যাচের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ম্যাচের আগেও সেটা জিইয়ে ছিল। তবে বিরাট তা এ দিন নিজের ওভার বাউন্ডারির মতোই সেটা উড়িয়ে বলেন, ‘‘যদি উইকেটে ঘাস থাকে, উইকেট যদি হার্ড হয়, তা হলে ইংল্যান্ড বোলারদের সুবিধা হয়। ওরা জানে, কী ভাবে এই উইকেটকে কাজে লাগাতে হয়। সে রকম উইকেটে লেংথও ওরা ঠিকমতো অ্যাডজাস্ট করে নেয়। কিন্তু পাশাপাশি আমরাও সেটা জানি। এই ধরনের উইকেটে কখন বল রিভার্স সুইং করবে, কোন জায়গায় বলটা রাখা দরকার, আমরাও তা বুঝি। ফলে লড়াইটা হয় সমানে সমানে।’’
ইডেনের উইকেট যে সারা দিনই চ্যালেঞ্জিং ছিল, তা জানিয়ে কোহালি বলেন, ‘‘উইকেট সারা দিনই চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু এই উইকেটেও তো ৩২০ উঠল। তার মানে চ্যালেঞ্জটা আমরা দুই দলই ভাল ভাবে নিতে পেরেছি।’’
ইংল্যান্ডের ৩২০ রান তোলা নিয়ে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘৪৫ ওভার পর্যন্ত আমরা ওদের কন্ট্রোলে রেখেছিলাম। শেষ পাঁচ ওভার যে ওরা মরিয়া হয়ে উঠবে, সেটা জানাই ছিল। আর সেটাই হল। ওদের ভাল বোলিং অলরাউন্ডার আছে। পাঁচজন পেসারকে দলে রাখতে পারে ওরা। তবু বলব, ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি খুশি। যুবি-মাহিরা আর একটু ভাল রান করলে হয়তো কাজটা সোজা হত। কিন্তু দু’জন তরুণ তো এগিয়ে এসে চেষ্টা করল। এটাও খারাপ নয়।’’
সেই জন্যই কোহালি ক্যাপ্টেন হিসেবে তাঁর প্রথম ওয়ান ডে সিরিজ থেকে একাধিক ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন বলে জানালেন।
কী সেগুলো?
‘‘কেদার যাদবের ব্যাটিং, যুবি-মাহির একসঙ্গে ব্যাটিং, ওদের বড় পার্টনারশিপ। দ্বিতীয় ম্যাচে ভুবির বোলিং। আজ কেদার-হার্দিকের পার্টনারশিপটাও যথেষ্ট ভাল। নতুনরা ভাল খেলছে। এগুলো যথেষ্ট।’’
কিন্তু এর পর তো সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তার আগে কোনও ওয়ান ডে-ই পাচ্ছে না ভারত। কী ভাবে সামলাবেন? প্রসঙ্গটা উঠতে বললেন, ‘‘অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না। একেবারে ক্রিকেট খেলছি না, তা তো নয়। তবে কয়েকটা সমস্যার আমাদের সমাধান করতে হবে। যেমন ওপেনার। মিডল অর্ডারে সমস্যা ছিল, সেটা মিটেছে। এখন ওপেনারদের ফর্মে ফেরা দরকার। ওরা না খেলতে পারলে ৭৫ শতাংশ ব্যাটিং শক্তি নিয়ে খেলতে হচ্ছে আমাদের। এটা ১০০ হয়ে গেলে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy