সফল: সেঞ্চুরি করে ড্র আদায় করে নিলেন বনার। টুইটার
শ্রীলঙ্কার পেস ও স্পিন আক্রমণকে সারা দিন ধরে ভোঁতা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ড্র আদায় করে নিলেন এনক্রুমা বনার। পঞ্চম তথা শেষ দিনে ২৭৪ বল খেলে ১১৩ রানে অপরাজিত থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিরোধের মেরুদণ্ড হয়ে উঠলেন তিনি। কাইল মেয়ার্স, ক্রেগ ব্রাথওয়েট এবং জেসন হোল্ডার যোগ্য সহায়তা দিয়ে গেলেন।
অ্যান্টিগার বাইশ গজ শেষ দিনে এসেও খুব খারাপ হয়নি। তাই শ্রীলঙ্কার বোলারেরা শৃঙ্খলা দেখালেও সফল হতে পারেননি। শেষের দিকে শ্রীলঙ্কার স্পিনার লাসিথ এমবুলদেনিয়া কিছুটা সমস্যা তৈরি করতে পেরেছিলেন বনারদের জন্য। বল ঘুরছিল, বাউন্সও নিচ্ছিল। কিন্তু তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মাত্র গত মাসেই চট্টগ্রামে ৩৯৫ রান তাড়া করে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এখানে ৩৭৫ তাড়া করার কোনও চেষ্টাই করেনি। তার কারণ অ্যান্টিগা পিচ মন্থর হয়ে পড়েছিল বলে দ্রুত রান তোলা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। দু’পক্ষের সম্মতিতে যখন ম্যাচ শেষ করা হয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২৩৬-৪। জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন বনার। অন্যদের মধ্যে মেয়ার্স অর্ধশতরান করেন। কিন্তু ব্রাথওয়েট ১২৪ বল খেলে দেন। ড্রয়ের লড়াইয়ে যা বেশ বড়সড় অবদান।
ম্যাচ শেষে বনার বলে যান, ‘‘জিততে পারলে ভাল লাগত। মেয়ার্স ও আমি সেই লক্ষ্য নিয়ে ইনিংস সাজাতে শুরু করি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩৯৫ রান তাড়া করে জিতেছিলাম। মেয়ার্সই জিতিয়েছিল সেই ম্যাচ। ওর সঙ্গে জুটি গড়ে আরও এক বার বড় রান তাড়া করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ও আউট হতেই সব অঙ্ক পাল্টে গেল। ব্ল্যাকউডও ফিরে যাওয়ার পরে জয়ের জন্য ঝাঁপানোর ঝুঁকি নিইনি।’’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাথওয়েটের প্রতিক্রিয়া, ‘‘পঞ্চম দিন উইকেট মন্থর হয়ে গিয়েছিল। তবুও বিপক্ষের স্পিন আক্রমণের বিরুদ্ধে ছেলেরা ড্র করেছে। তাতেই খুশি।’’ সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৬৯ ও ৪৭৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৭১ ও ২৩৬-৪ (বনার ১১৩ অপরাজিত)। ম্যাচ ড্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy