চাহালকে নিয়ে বিরাটের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বল হাতে তিন উইকেট পেয়েছেন। পাঁচ ওভার বল করে ৩০ রান দেওয়া যুজবেন্দ্র চাহালকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত স্বয়ং অধিনায়ক বিরাট কোহালি। কিন্তু অধিনায়কের ভূমিকাই যে তাঁর সাফল্যের কারণ সেটা বলতে ভোলেননি চাহাল। সিরিজ শুরুর আগেই অবশ্য তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে বিরাট কোহালির ভূমিকা নিয়ে প্রশংসার মালা গেঁথেছিলেন তিনি। এ বার প্রথম ম্যাচেই সাফল্য সেটারই প্রমাণ সঙ্গে অধিনায়কের বিশ্বাসকে মর্যাদা দেওয়াও। এ ছাড়া তাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে কম সমালোচনা শুনতে হয়নি বিরাটকে। স্বজন-পোষণের অভিযোগও তোলা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যুজবেন্দ্র চাহালের মতে, কারও পাশে যদি বিরাটের মতো এমন আক্রমণাত্মক অধিনায়ক থাকেন তা হলে অনেক স্বাধিনতা পাওয়া যায়। যেটা বিরাট দেনও। চাহাল বলেন, ‘‘রিস্ট স্পিনাররা বেশিরভাগই আক্রমণাত্মক কিন্তু যখন তোমার অধিনায়ক অতটা আক্রমণাত্মক হন তখন আমাদেরও অ্যাটাকের স্বাধিনতা চলে আসে।’’
আরও পড়ুন
বিরাট জয়ে ম্যাচ উইনারের ব্যাটন বদল অন্য হাতে
টোটকা দেন ধোনিই
সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারত। ২৬ রানে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। যদিও চাহাল বলছেন, কখনও কখনও খেলতে খেলতেই সিদ্ধান্তের বদল করতে হয়। বলেন, ‘‘আমি আর কুলদীপ পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়েই বল করছিলাম। যেহেতু আমরা অ্যাটাকিং বোলার তাই আমরা প্রথম থেকেই উইকেটের জন্য ঝাঁপিয়েছিলাম। ম্যাচের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই আমরা বোলিংয়ের পরিবর্তন করেছি। কিন্তু আমরা কেউই সেফ ক্রিকেট খেলতে চাইনি। এ ভাবে ম্যাচ জেতা যায় না।’’ চার ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ যাদব।
ভারতীয় শিবিরে জয়ের উল্লাস।
ম্যাক্সওয়েল প্রসঙ্গে চাহাল বলেন, ‘‘আইপিএল-এ আমি ম্যাক্সওয়েলকে অনেক বল করেছি। এই ম্যাচে ওকে স্পিন দিয়েই বধ করার পরিকল্পনা ছিল। আমরা রক্ষণাত্মক খেলতে চাইনি। প্রয়োজন ছিল লাইনের বদল। ও যদি ভাল শট খেলে, তা হলে ঠিক আছে। আর যদি ও অফে খেলার চেষ্টা করে তা হলে ওকে আউট করতে হবে।’’ শুধু তাই নয়, কোহালি ও ধোনি চাহালকে অফ স্টাম্পের বাইরে বল করতে বলেছিল। চাহাল বলেন, ‘‘মাহিভাই ও বিরাট ভাই আমাকে এ ভাবেই বল করতে বলেছিল। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বল করতে বলেছিল।’’ হার্দিক পাণ্ড্য ও এমএস ধোনির পারফরমেন্সের প্রশংসাও শোনা গেল চাহালের মুখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy