মারমুখী শিখর। টেস্টের প্রথম দিনে। ছবি: এএফপি।
প্রশ্নটা বুধবার থেকে জোরালো ভাবে উঠছিল। আজ তাতে ঘৃতাহুতি হল। ভারতের বিরুদ্ধে চার স্পিনার খেলানোর স্ট্র্যাটেজি নিয়ে লেগে গেল বাংলাদেশ কোচ ও নির্বাচক প্রধানে।
কোন যুক্তিতে বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে এমন অদ্ভুত টিম নামানো হল, তা নিয়ে এ দিন প্রচুর লেখালেখি হয়েছে স্থানীয় কাগজে। কাঠগড়ায় তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের কোচ চণ্ডিকা হাতুরাসিংঘেকে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নির্বাচক প্রধান ফারুখ আহমেদ পুরো ঘটনায় নিজের মতামতও পরিষ্কার করে দিলেন। বলা বাহুল্য, কোচের ধ্যানধারণার যা সম্পূর্ণ বিপরীত।
“আমরা প্রথম একাদশ নির্বাচনে সরাসরি ঢুকি না। কিন্তু মতামত দিতে পারি। আর আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, মাত্র একজন পেসার নিয়ে নামাটা ঠিক হয়নি,” এ দিন দুপুরে ফোনে বলছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচক প্রধান। যাঁর মনে হচ্ছে, উইকেট পাটা বলে পেসার নামিয়ে লাভ হবে না, তার কোনও মানে নেই। “আমাদের টিমে পেসার তো কম নেই। আর পাটা উইকেটে পেসাররা উইকেট নেয় না কি? পরের দিকে রিভার্স করাতে পারলে দু’একটা উইকেট যে আসত না, কে বলতে পারে?”
কেউ প্রশ্ন তুলছেন, বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচের প্রতি মনোভাব নিয়ে। যা রক্ষণাত্মক ঠেকছে। কেউ বলছেন, ভাল বিকল্প নেই বলে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তনকে নিরুপায় হয়ে রেখে দিতে হবে। রুবেল হোসেনের টিমে জায়গা না হওয়া নিয়েও অবাক হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচক প্রধান আহমেদও আছেন। রুবেলকে টেস্টে স্কোয়াডে রেখেও খেলানো হচ্ছে না ভারতের বিরুদ্ধে। যেখানে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পেসার তিনিই ছিলেন। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার সময় রুবেলের যে চোট লেগেছিল, তা সম্পূর্ণ সারেনি। তিনি পুরো ফিট নন, তাই খেলানো হয়নি। আহমেদ যে যুক্তি ওড়ালেন। তাঁর যুক্তি পরিষ্কার এবং মন্তব্য কাটাকাটা। “রুবেল ফিট না হলে ওকে আর স্কোয়াডে নেব কেন? ও ফিট!”
যা দাঁড়াচ্ছে, শুক্রবার থেকে ম্যাচ শুরু হলে মুশফিকুর রহিমকে একসঙ্গে দু’টো ম্যাচ খেলতে হবে। একটা বাইশ গজে, শিখর-বিরাটদের বিরুদ্ধে। আর একটা বাইশ গজের বাইরের। যার স্লিপ কর্ডনে দাঁড়িয়ে থাকবেন তাঁর নিজেরই দেশের নির্বাচক প্রধান!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy