উইম্বলডন বিজয়ীর ট্রফি হাতে বার্বোরা ক্রেচিকোভা। ছবি: এক্স (টুইটার)।
তিন বছর হল বদলে গিয়েছে উইম্বলডনে মহিলা সিঙ্গলসে বিজয়ীদের নাম লেখার ধরন। ২০২১ সাল পর্যন্ত ভেনাস রোজ়ওয়াটার ডিশ (মহিলাদের সিঙ্গলস ট্রফির নাম) জয়ীর নামের আগে ‘মিস’ বা ‘মিসেস’ লেখা হত। কিন্তু গত তিন বছর ধরে ‘অনার বোর্ডে’ লেখা হচ্ছে শুধু চ্যাম্পিয়নের নাম।
পুরুষ সিঙ্গলসে চ্যাম্পিয়নদের নামের আগে কখনও ‘মাস্টার’ বা ‘মিস্টার’ লেখা হত না। লেখা হয় বিজয়ীর নামের প্রথম অক্ষর এবং তাঁর পদবি। যেমন নোভাক জোকোভিচ চ্যাম্পিয়ন হলে সালের পাশে লেখা হয় এন জোকোভিচ বা রজার ফেডেরারের ক্ষেত্রে আর ফেডেরার। অথচ মহিলা সিঙ্গলসে ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়ন সিমোনা হালেপের নাম লেখা হয়েছে মিস এস হালেপ। ২০১৬ সালের পাশে লেখা রয়েছে মিস এস উইলিয়ামস (সেরেনা উইলিয়ামস)।
২০২২ সাল থেকে পরিবর্তন হয়েছে এই প্রথার। মহিলাদের নামের আগে থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে ‘মিস’ বা মিসেস’। ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়নের নাম লেখা হয়েছে ই রাইবাকিনা (এলিনা রাইবাকিনা)। এ বার লেখা হয়েছে শুধু বি ক্রেচিকোভা (বার্রোরা ক্রেচিকোভা)। অর্থাৎ, পুরুষ সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়নদের মতো করেই লেখা হচ্ছে মহিলা সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়নদের নাম।
কেন এই পরিবর্তন? মহিলাদের সম্মান দেওয়ার জন্য তাঁদের নামের আগে ‘মিস’ বা ‘মিসেস’ লেখা হত। টেনিসের আধুনিকীকরণের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এই প্রথায় বিজয়ী মহিলা খেলোয়াড় বিবাহিত না অবিবাহিত, তা-ও চিহ্নিত করা যেত। পুরুষ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে ‘অনার বোর্ড’ দেখে তা বোঝার সুযোগ ছিল না। সব খেলোয়াড়ের মধ্যে সমতা আনতে আগের প্রথা ভেঙেছেন উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ সালে চেয়ার আম্পায়ারেরা পুরুষ এবং মহিলা খেলোয়াড়দের কী ভাবে সম্বোধন করবেন, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ইউএস ওপেনে সময়। তেমন বিতর্ক এড়াতে সব খেলোয়াড়ের শুধু নাম লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উইম্বলডন কর্তৃপক্ষও।
মহিলা খেলোয়াড়েরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। আবার এখনও যাঁরা পুরুষ এবং মহিলা খেলোয়াড়দের সমান পুরস্কারমূল্যের সমর্থক নন, তাঁরাও উইম্বলডন কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy