অনড়: লালবাজারের পথে শামির স্ত্রী হাসিন। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে আর শুধু হুঙ্কার দেওয়া নয়, আইনজীবীকে নিয়ে লালবাজারে এসে ভারতীয় দলের তারকা পেসার মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগই দায়ের করে দিলেন তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান।
সেই লিখিত অভিযোগে শামির একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের উল্লেখ করার পাশাপাশি তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথাও জানিয়েছেন। হাসিন আরও দাবি করেছেন যে, পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শামি বিভিন্ন সময়েই তাঁর প্রতি মারমুখী হয়েছেন। তাঁর বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনা বধূ নির্যাতনের অভিযোগের দিকেই মোড় নিচ্ছে।
‘আমাকে খাবারের মধ্যে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টাও করেছিল ওরা,’ লিখিত অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন হাসিন (যার প্রতিলিপি আনন্দবাজারের কাছে রয়েছে)। সঙ্গে আরও নানা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ কমিশনারকে উদ্দেশ করে লেখা এই অভিযোগপত্রকে এফআইআর হিসেবেও দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন হাসিন।
শামি এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের আমরোহার দাদোলির বাড়িতে। স্ত্রী লালবাজার থেকে বেরোনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকটি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেন শামি। তিনি বলেন, ‘‘অনেক অভিযোগই ও করে চলেছে। সব কিছু প্রমাণ করার দায় ওর।’’ শামি এমনও দাবি করেন যে, হাসিন ‘‘মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে।’’ গোয়েন্দা প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেছেন, ‘‘শামির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’’
নিয়ম অনুযায়ী, ফৌজদারি কার্যবিধিতে ৪১ (এ) ধারায় নোটিস পাঠিয়ে শামিকে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হতে পারে। তদন্তে সহযোগিতা করলে শামিকে গ্রেফতার করা না-ও হতে পারে। কিন্তু শামি তদন্তে অসহযোগিতা করলে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ।
আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে শামি গ্রেফতার হতে পারেন, জেলও হতে পারে। জয়ন্তনারায়ণবাবুর কথায়, ‘‘স্ত্রীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শামির তিন বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘শামির স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা বেআইনি তো বটেই, চূড়ান্ত অনৈতিকও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy