Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আর্জেন্টিনার হয়ে ঝড় তুলতে তৈরি চার মূর্তি

নেতৃত্বে অবশ্যই লিয়োনেল মেসি। সঙ্গে থাকছেন সের্খিও আগুয়েরো, গঞ্জালো হিগুয়াইন এবং পাওলো দিবালা। ইতিহাস ঘাঁটলে আর্জেন্টিনার অনেক দলেই দারুণ সব আক্রমণাত্মক ফরোয়ার্ড লাইন পাওয়া যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০৫:৪৬
Share: Save:

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে চর্চায় আর্জেন্টিনার চার মূর্তি। বলা হচ্ছে, এমন ভয়ঙ্কর আক্রমণ ভাগ নিয়ে আর কখনও কোনও বিশ্বকাপে খেলতে আসেনি কোনও দল।

কারা সেই চার জন?

নেতৃত্বে অবশ্যই লিয়োনেল মেসি। সঙ্গে থাকছেন সের্খিও আগুয়েরো, গঞ্জালো হিগুয়াইন এবং পাওলো দিবালা। ইতিহাস ঘাঁটলে আর্জেন্টিনার অনেক দলেই দারুণ সব আক্রমণাত্মক ফরোয়ার্ড লাইন পাওয়া যাবে। কিন্তু এক সঙ্গে এমন চার মূর্তি কমই দেখা গিয়েছে। যাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের ক্লাবের প্রধান মুখ। প্রত্যেকেই গোল করতে পারেন। চার জনে মিলে চলতি মরসুমে ক্লাব ফুটবলে মোট ১২৪টি গোল করেছেন।

সকলের চেয়ে এগিয়ে মেসি। বার্সেলোনার হয়ে এই মরসুমেও ৫৪ ম্যাচে ৪৫ গোল করেছেন তিনি। শুধু ক্লাবের হয়ে শাসন করা নয়, আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করাও নিশ্চিত করে দেন মেসিই। রাশিয়ার টিকিট অর্জন করতে হলে যোগ্যতা অর্জন পর্বের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে জিততেই হত। হ্যাটট্রিক করে মেসি দেশের লজ্জা আটকান। তাঁকে ছাড়া রাশিয়ায় আসাই হয়তো হত না আর্জেন্টিনার।

ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে শুরুর দিকে পেপ গুয়ার্দিওলার আস্থা অর্জন করতে না পারলেও পরের দিকে প্রধান স্ট্রাইকার হয়ে ওঠেন আগুয়েরো। তেমনই জুভেন্তাসের প্রধান গোল স্কোরার হিগুয়াইন। এ বারেও ইতালি সেরা হয়েছে জুভেন্তাস। তার পিছনে বড় অবদান হিগুয়াইনের। তাঁর সঙ্গেই জুভেন্তাসে খেলেন দিবালা। যাঁকে নতুন তারা হিসেবে দেখা হচ্ছে। জুভেন্তাসের হয়ে এই মরসুমে ৪৮ ম্যাচে ২৬ গোল করেছেন দিবালা। যদিও আর্জেন্টিনার কোচ হর্হে সাম্পাওলি ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি এক সঙ্গে চার জনকে সম্ভবত খেলাতে পারছেন না। সাম্পাওলি জানিয়েছেন, শনিবারের ম্যাচে আগুয়েরোকে দিয়ে শুরু করবেন। সেক্ষেত্রে হিগুয়াইনকে হয়তো বেঞ্চে বসতে হবে। দিবালাকেও খেলানো হবে কি না, নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সাম্পাওলির কথায় ইঙ্গিত, মেজাকে বেশি পছন্দ হয়েছে তাঁর। সামনে আগুয়েরোকে রেখে মেসির দু’পাশে অ্যাঙ্খেল দি’মারিয়া এবং মেজাকে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

আর্জেন্টিনার চার মূর্তির সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে চলে আসছে ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে ইতালির আক্রমণ বিভাগের কথা। সে বার ইতালি দলে ছিলেন ফ্রান্সেসকো তোত্তি, আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো, ফিলিপো ইনজাঘি। অথবা তুলনা হতে পারে ২০০২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ‘আর’ ত্রয়ীর সঙ্গে। রোনাল্ডো, রিভাল্ডো, রোনাল্ডিনহো।

আর্জেন্টিনা দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন (১৯৭৮ ও ১৯৮৬)। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে। রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ডের এ বারই বিশ্বকাপে অভিষেক হচ্ছে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও অনেক পিছিয়ে (২২)। তা সত্ত্বেও ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে প্রতিপক্ষকে নিয়ে সতর্কতা দেখা যাচ্ছে মেসিদের শিবিরে। আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক উইলফ্রেদো কাবালেরো ফিফার ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘হারলেও ক্ষতির চেয়ে লাভই বেশি হবে আইসল্যান্ডের। আমাদের ব্যাপারটা কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো।’’ কেন? উইলফ্রেদোর ব্যাখ্যা, ‘‘প্রথম ম্যাচ সব সময়ই কঠিন। মানসিক চাপ অনেক বেশি থাকে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আইসল্যান্ড রক্ষণাত্মক রণনীতি নিয়ে মাঠে নামবে। আমাদের দলেও একঝাঁক দুর্দান্ত ফুটবলার রয়েছে। যারা আইসল্যান্ডের রক্ষণ ভেঙে গোল করার জন্য তৈরি।’’

মেসিকে কেমন ফর্মে দেখছেন? জিজ্ঞেস করা হলে সাম্পাওলি বলেন, ‘‘দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে মেসি। নতুন একটা বিশ্বকাপ শুরু করা নিয়ে খুব উত্তেজিতও রয়েছে। আমরা আশা করছি, এই বিশ্বকাপ মেসিকে খালি হাতে ফেরাবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE