Advertisement
E-Paper

নাটক! নাটক! নাটক! শেষ চারে ক্রোয়েশিয়া

প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়া হারিয়েছিল প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে। আর ডেনমার্ককে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। দু’দলের হয়েই সেই ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন দুই গোলরক্ষক। ক্রোয়েশিয়ার দানিয়েল সুবাসিচ।

শিশির ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:০৫
উচ্ছ্বাস: টাইব্রেকারে কিক আটকে সুবাসিচের হুঙ্কার। শনিবার। ছবি: রয়টার্স।

উচ্ছ্বাস: টাইব্রেকারে কিক আটকে সুবাসিচের হুঙ্কার। শনিবার। ছবি: রয়টার্স।

রাশিয়া ২ (৩) • ক্রোয়েশিয়া ২ (৪)

শেষ ষোলোর ম্যাচ টাইব্রেকারে জিতে কৃষ্ণসাগরের তীরে সোচিতে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে এসেছিল রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া।

প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়া হারিয়েছিল প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে। আর ডেনমার্ককে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। দু’দলের হয়েই সেই ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন দুই গোলরক্ষক। ক্রোয়েশিয়ার দানিয়েল সুবাসিচ। আর রাশিয়ার ইগর আকিনফেভ। এ দিনও ম্যাচ শেষ হল টাইব্রেকারে। সেখানে হ্যামস্ট্রিংয়ে যন্ত্রণা নিয়েও স্মোলভের শট বাঁচিয়ে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে গেলেন সুবাসিচ। আর কোভাসিচের শট বাঁচিয়েও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা হল না আকিনফেভের। কারণ তাঁর দলের হয়ে অতিরিক্ত সময়ে সমতা ফেরানো মারিয়ো ফের্নান্দেস পেনাল্টি বাইরে মারায় টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে ম্যাচ শেষ হয় ৪-৩।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে ১৩ বার কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছে আয়োজক দেশ। তার মধ্যে নয় বার শেষ চারে গিয়েছে আয়োজকরা। এ দিন সেই সেমিফাইনালের কাছাকাছি এসেও বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে গেল ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে গেল ক্রোয়েশিয়া।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে

• ১০ জুলাই: ফ্রান্স বনাম বেলজিয়াম। (রাত ১১.৩০)

• ১১ জুলাই: ইংল্যান্ড বনাম ক্রোয়েশিয়া। (রাত ১১.৩০)

ম্যাচটা শুরু হওয়ার আগে টিভিতে দেখছিলাম রাশিয়ার সমর্থকরা বিশাল ব্যানারে রুশ ভাষায় প্রেরণামূলক কিছু লিখে এনেছিলেন। টিভিতে ধারাভাষ্যকার যার ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেওয়ার বুঝলাম অর্থ। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘‘তোমাদের সুযোগ, আমাদের স্বপ্ন। তোমরা না জিতলে জিতবে কারা?’’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়লক্ষী যে ক্রোয়েশিয়ার দিকেই থাকলেন।

দশ বছর আগে ইউরো কাপের বাছাই পর্বে ক্রোয়েশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারানোয় মূলপর্বে যায় রাশিয়া। কিন্তু শনিবার রাতে সোচিতে সেই বন্ধুত্ব বা ‘বেরাদরি’ দেখানোর ম্যাচ ছিল না। ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াই। সেখানে নির্ধারিত সময়ে ১-১ থাকা ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে লুকা মদ্রিচের কর্নার থেকে দোমাগোস ভিদা হেডে ২-১ করতেই নিশ্চুপ হয়ে যায় রুশ গ্যালারি। কিন্তু এর পরেই ব্রাজিল জাত রুশ ডিফেন্ডার মারিয়ো ফের্নান্দেস হেডে ২-২ করতেই ম্যাচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে।

রাশিয়ার কোচ স্তানিস্লাভ চের্চেসভ তাঁর দলের চেয়ে কিছুটা শক্তিশালী লুকা মদ্রিচদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক রণকৌশল নেননি। স্পেনের বিরুদ্ধে রুশ কোচের ছক ছিল ৫-৩-১-১। এ দিন তিনি দল সাজিয়েছিলেন ৪-২-৩-১। খুব রক্ষণাত্মকও নয়। আবার খুব আক্রমণাত্মকও বলা যায় না। লেফ্ট ব্যাক ঝিরকভের বদলে এ দিন তিনি নামিয়ে দিয়েছিলেন দিনিস চেরিশেভকে। আর দেশের মানুষের সামনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে নেমে সেই চেরিশেভ ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে এমন একটা দর্শনীয় গোল করে গেলেন, তা উপভোগ করার মতো। যে কোনও স্ট্রাইকার এরকম গোল করলে গর্বিত হবেন। ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাটকো দালিচও দল সাজিয়েছিলেন ৪-২-৩-১ ছকে।

আসলে দুই কোচেরই লক্ষ্য ছিল, মাঝমাঠের নিজেদের দখলে রাখা। আর তা করতে গিয়েই প্রথম পঁচিশ মিনিটে রুশ রক্ষণে ঝড় তুলেছিলেন পেরিসিচ, মদ্রিচরা। কিন্তু পাল্টা প্রতি-আক্রমণে এসে এগিয়ে যাওয়া রাশিয়ার। গোলটার সময় নিজেদের অর্ধ থেকে উড়ে আসা বল ধরে চকিতে ডান পায়ে সতীর্থ আর্তেম জৌবার সঙ্গে ওয়াল খেলেছিলেন চেরিশেভ। তার পরে কিছুটা এগিয়ে দেখে নিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক এগিয়ে এসেছেন। সেই সুযোগেই বাঁ পায়ে দুরন্ত গোলটা করে যান ভিয়ারিয়ালে খেলা এই ফুটবলার।

কিন্তু এই গোল ধরে রাখতে পারেনি রাশিয়া। আট মিনিটের মধ্যেই ক্রোয়েশিয়ার হয়ে গোল শোধ করে দেন ক্রামারিচ। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আমি দায়ী করব রাশিয়ার রাইট ব্যাক মারিয়ো ফের্নান্দেসকে। মান্দজুকিচকে ধরতে সময় নিয়েছিল ও। গতিতে পিছনে পড়ে গিয়েছিল।

Football FIFA World Cup 2018 বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ Danijel Subasic Croatia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy