আকর্ষণ: কলম্বিয়ার অস্ত্র গত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া হামেস রদ্রিগেস। (ডান দিকে) পোল্যান্ডের ভরসা রবার্ট লেয়নডস্কি। ফাইল চিত্র
গ্রুপ এইচ
পোল্যান্ড
• ফিফা র্যাঙ্কিং: ১০
• ডাকনাম: দ্য ঈগল্স
বিশ্বকাপ ইতিহাস
• প্রথম পর্বে : ৭ বার
• সেমিফাইনালে: ২ বার
• ফাইনালে : এক বারও নয়
• চ্যাম্পিয়ন : এক বারও নয়
কী ভাবে রাশিয়ায়
উয়েফার গ্রুপ ‘ই’ থেকে খুব সহজেই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করে পোল্যান্ড। তাদের গ্রুপে আর ছিল ডেনমার্ক, মন্তেনেগ্রো, রোমানিয়া, আর্মেনিয়া এবং কাজাখস্তান। যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রুপে দশটির মধ্যে আটটি ম্যাচ জিতেছিল তারা। তবে ডেনমার্কের কাছে কোপেনহাগেনে গিয়ে ০-৪ হার বড় ধাক্কা ছিল। সব মিলিয়ে গ্রুপের খেলায় ২৮টি গোল করে পোল্যান্ড। তার মধ্যে ১৬টি গোলই রবার্ট লেয়নডস্কির করা। পোল্যান্ডের এক নম্বর তারকা এবং অধিনায়ক ঘরের মাঠে রোমানিয়া এবং ডেনমার্কের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন।
কোচ: আদাম নাভালকা
পোল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার তিনি। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে খেলেছেন। জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন ২০১৩-তে। তার পর ইউরোয় কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন দলকে। ২০০৬ সালের পরে বিশ্বকাপেও প্রথম বার মূল পর্বে তুলেছেন দলকে।
সফল: স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কোচ আদাম নাভালকার। ফাইল চিত্র
শক্তি
পোল্যান্ডের সব চেয়ে চর্চিত ফুটবলার রবার্ট লেয়নডস্কি হলেও তাদের দল এক জনের উপর নির্ভরশীল নয়। ২০১৬ ইউরোতে ভাল ফল তাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে টাইব্রেকারে হারে পোল্যান্ড। দক্ষ ফুটবলার রয়েছে দলে। সেন্টার ব্যাক কামিল গ্লিক, ডিফেন্ডার লুকাস পিসচেক এবং মিডফিল্ডার জেকোস ক্রেহোয়িয়াক রয়েছেন। পিয়োত্রো জিয়েনিস্কি এবং ক্যারল লিনেত্তের মতো তরুণ মনে করাতে পারেন ’৭০ বা ’৮০-র স্বপ্নের পোল্যান্ডকে।
দুর্বলতা
গোটা দলের গরিষ্ঠ সংখ্যক ফুটবলার ভাল কোনও ক্লাবে নিয়মিত খেলেন না। খুব বড় কোনও ক্লাবে খেলা ফুটবলারও তাদের দলে নেই। জুভেন্তাসে যেমন দ্বিতীয় গোলকিপার হিসেবে সারা মরসুম প্রায় বসেই কাটিয়েছেন ভোয়চে শেনস্নি। বেশির ভাগ ম্যাচে খেলেছেন বুফন। এমনকি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের ব্যর্থতার জন্য সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে লেয়নডস্কিকে।
তারকা: রবার্ট লেয়নডস্কি
ইতিমধ্যেই তাঁকে পোল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলা হচ্ছে। ৯৩ ম্যাচে ৫২ গোল করে তিনিই দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বায়ার্নের হয়ে শেষ মরসুমেও ৩৯ গোল করেছেন। তবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা পেতে গেলে বিশ্ব মানের কোনও ইভেন্টে সাফল্য পেতে হবে তাঁকে। পোল্যান্ডকে ভাল কিছু করতে হলে লেয়নডস্কিকে তাঁর সেরা ফর্মে থাকতে হবে।
কলম্বিয়া
• ফিফা র্যাঙ্কিং: ১৬
• ডাকনাম: লস কাফেতেরস
বিশ্বকাপ ইতিহাস
• প্রথম পর্বে : ৫ বার
• সেমিফাইনালে : এক বারও নয়
• ফাইনালে : এক বারও নয়
• চ্যাম্পিয়ন: এক বারও নয়
কী ভাবে রাশিয়ায়
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন খুব কঠিন না হলেও খুব সহজও হয়নি। শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে পয়েন্ট হারিয়েছে কলম্বিয়া। কিন্তু দুর্বল দলগুলির সঙ্গে জিতে সম্পূর্ণ ফায়দা তুলেছে। আর্জেন্তিনার কাছে হোম, অ্যাওয়ে দু’টোতেই তারা হেরেছে। ব্রাজিল, উরুগুয়ে, চিলির সঙ্গেও জিততে পারেনি। শেষ দিনে পেরুর সঙ্গে ড্র করে রাশিয়ার টিকিট অর্জন।
কোচ: হোসে পেকারম্যান
আর্জেন্তিনীয় পেকারম্যানকে ফুটবলের অন্যতম সেরা চাণক্য ধরা হয়। ১৯৯০-এর পরে এই প্রথম কলম্বিয়া টানা দু’বার বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলছে। দু’বারই কোচ পেকারম্যান। নিজের দেশ আর্জেন্তিনার কোচ হিসেবে তিন বার অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন।
পরীক্ষা: পেকারম্যানকে শ্রদ্ধা করে ফুটবল বিশ্ব। ফাইল চিত্র
শক্তি
ইউরোপের সেরা লিগে খেলা অনেক ফুটবলার আছেন তাদের দলে। সব চেয়ে পরিচিত দুই নাম হামেস রদ্রিগেস এবং রাদামেল ফালকাও। চোটের জন্য ব্রাজিলে খেলতে পারেননি ফালকাও। তাই এ বারে বাড়তি তাগিদ নিয়ে আসবেন।
দুর্বলতা
বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে হালফিলে খুব বেশি সাফল্য নেই কলম্বিয়ার। দল হিসেবে খেলানোটাই সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে পেকারম্যানের কাছে। মিডফিল্ডে দুর্বলতা সব চেয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।
তারকা: হামেস রদরিগেস
চার বছর আগে ব্রাজিলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। রাশিয়াতেও কলম্বিয়ার সেরা আকর্ষণ তিনিই। বায়ার্ন মিউনিখে ভাল খেলে আসছেন সুদর্শন হামেস।
গ্রুপের অন্যরা
• সেনেগাল: ফিফা র্যাঙ্কিং ২৮। ২০০২-এর পরে ফের বিশ্বকাপে। আকর্ষণ লিভারপুলের সাদিও মানে।
• জাপান: ফিফা র্যাঙ্কিং ৬০। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে খেলা শিনজি কাগাওয়া সেরা আকর্ষণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy