পয়লা শতক। ১৪ টেস্ট | ২২৭ বল। সেঞ্চুরির পরে ঋদ্ধিমান। বুধবার। ছবি: এপি।
এটা একটা আলাদা বিষয়, একদম আলাদা। টেস্টে ১০৪ ওর কাছ থেকে এটা গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার আমাকে কাজে কলকাতায় যেতে হয়। ট্রেনে থাকার সময়ই খবরটা পাই ফোনে। আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। আমরা ওর জন্য গর্বিত।
মঙ্গলবার ফোনেও কথা হচ্ছিল ওর সঙ্গে। বাইরে যেখানেই থাকুক আমার সঙ্গে ঋদ্ধির নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। ফোনে কথা হয়। না হয় হোয়াটস অ্যাপে কথপোকথন। ওকে বলছিলাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই টেস্ট সেঞ্চুরিটা করতেই হবে। বলেছিলাম চেষ্টা কর, ঠিক হবে। ও সেটা করে দেখানোয় আমি অভিভূত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আগের দুটি টেস্টের একটিতে ৪০ এবং পরেরটিতে ৪৭ করেছে। কিন্তু সেঞ্চুরিটা হচ্ছিল না। ও নিজেও চাইছিল সেঞ্চুরি হোক। এ বারে প্রথম থেকেই ও লক্ষ্যে অবিচল ছিল। আমি বললাম, তুই চাইলেই হবে। ধরে খেলতে হবে। আপ্রাণ চেষ্টা কর।
আজ মনে পড়ছে, রঞ্জিতে বাংলা দলের কোচ ছিলেন ভরত অরুণ। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে পঞ্জাব এবং ওড়িশার সঙ্গে খেলেছিল বাংলা। ঋদ্ধিমানের খেলা দেখে বাংলার কোচ তখন বলেছিলেন, ওর খেলা অন্য রকম। ও একদিন ঠিক বড় ক্রিকেটার হবে। সেটাই ও করে দেখাচ্ছে। যত খেলছে, ততই পরিণত হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে টেস্টে ও সর্বোচ্চ ৬০ রান পেয়েছিল। এ দিন সেঞ্চুরি করে সেটাকে টপকে গেল। শুধু সেঞ্চুরিই নয়, সেই সঙ্গে ওর কিপিংয়ের প্রশংসাও করতেই হবে। মনে রাখতে হবে, ও যে জায়গাটা পেয়েছে, সেখানে এত দিন খেলেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কিপিংয়ে ওর জায়গা যে পাকা, সেটা ওর খেলা দেখে সকলেই বুঝতে পারছেন। এই টেস্ট সিরিজেই তো ওর কিপিং নিয়ে সৈয়দ কিরমানির সঙ্গে তুলনা টানছেন অনেক সমালোচক। তবে আরও অনেকটা পথ যেতে হবে ওকে। ক্রিকেটের রাজপথ ওর জন্য আরও প্রশস্ত হোক, সেটাই চাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy