Advertisement
E-Paper

১৭ বছরের ক্রিকেট জীবনে কোন পথে ৩০০

১৭ বছরের ওয়ান ডে কেরিয়ারে যুবরাজ জিতে নিয়েছেন বিশ্বকাপ, টি২০ বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সবই। ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের মূল কারিগর ছিলেন এই যুবরাজই। ওই বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের সেরাও নির্বাচিত হন যুবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ২০:৫৫
রেকর্ডের মুখে যুবরাজ সিংহ।  ছবি: এপি

রেকর্ডের মুখে যুবরাজ সিংহ। ছবি: এপি

আর কয়েক ঘন্টা পরই চলতি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-বাংলাদেশ। আর সেই ম্যাচেই এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের জার্সি গায়ে ৩০০তম ম্যাচটি খেলতে নামবেন যুবরাজ সিংহ। যুবরাজের ৩০০তম ম্যাচকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সাজসাজ রব টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচ জিতে যুবির ৩০০তম ম্যাচকে স্মরনীয় করে রাখতে বদ্ধপরিকর তাঁর সতীর্থরা।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক কেমন যুবরাজ সিংহের এই সফর।

২০০০ সালে আইসিসি নক আউট ট্রফিতে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম সুযোগ পান যুবরাজ। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে এই সুযোগ দেওয়া হয় যুবরাজকে। ২০০০ সালের ৩ অক্টোবর কেনিয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক হয় পঞ্জাবকি পুত্তরের। ওই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কেরিয়ারে প্রথমবারের জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান তিনি।

আরও পড়ুন: রেকর্ড ভারতের দিকে! আবার রেকর্ডই ভরসা জোগাচ্ছে বাংলাদেশকে

এর পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি যুবিকে। একের পর এক দর্শনীয় পারফর্ম্যান্স করে নিজের জায়গা দলে পাকা করে নিয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ। ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের তত্বাবধানে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন যুবি। সৌরভের অধিনায়কত্বে ভারতের ঐতিহাসিক ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির জয়ের পিছনেও দুরন্ত অবদান ছিল যুবরাজের।

১৭ বছরের ওয়ান ডে কেরিয়ারে যুবরাজ জিতে নিয়েছেন বিশ্বকাপ, টি২০ বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সবই। ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের মূল কারিগর ছিলেন এই যুবরাজই। ওই বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের সেরাও নির্বাচিত হন যুবি।

কিন্তু এর পরই মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন যুবরাজ সিংহ। কিন্তু ক্রিকেট মাঠ থেকে এই প্রতিশ্রুতিবাণ ক্রিকেটারকে কেড়ে নিতে পারেনি ক্যান্সার। মৃত্যুকে জয় করে আবার ক্রিকেট মাঠে ফিরে আসে এই বাঁহাতি অল-রাউন্ডার।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক যুবরাজের কয়েকটি স্মরণীয় ইনিংস

২০০১ সালে কলোম্বিয়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১০ বলে ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। ২০০২ সালে ন্যাট ওয়েস্ট ট্রফিতে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৩ বলে ৬৯ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস। ২০০২ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৭২ বলে ৬২ রানের ইনিংস। ২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৩ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ২০০৬ সালে রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৬ বলে ১৩৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। ২০১১ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৫০ এবং বল হাতে ৩১ রানে ৫ উইকেট। ২০১১ বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বল হাতে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট সঙ্গে ম্যাচ জেতান শতরান(১১৩)। ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আমদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৫ বলে ৫৭ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস। ২০১৭-এ কটকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৮ বলে ১৫০ রানের ইনিংস।

Yuvraj Singh ODI ICC Champions Trophy 2017 Cricketer Champions Trophy যুবরাজ সিংহ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy