সাদা বলের ক্রিকেটে দারুণ সব কীর্তির অধিকারী তিনি। কিন্তু অধরা থেকে গিয়েছে প্রতিষ্ঠিত টেস্ট ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। কেন? যুবরাজ সিংহ এ নিয়ে মুখ খুললেন এ বার। স্পোর্টস ১৮-এর ‘হোম অব হিরোজ’ অনুষ্ঠানে তিনি ইঙ্গিত করেছেন, যথেষ্ট সুযোগ না পাওয়ার দিকেই। যুবির কথায়, ‘‘যদি সে যুগের সঙ্গে এ যুগের তুলনা করা হয়, তা হলে দেখা যাবে এখন ক্রিকেটারেরা ১০-১৫টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। সেই সময়ে সম্ভবত সুযোগটা ছিল ওপেনে, যেমন বীরু (বীরেন্দ্র সহবাগ) করেছিল। মিডল অর্ডারে দ্রাবিড়, সচিন, সৌরভ, লক্ষ্মণরা ছিল। লাহৌরে সেঞ্চুরি করার পরের টেস্টে আমাকে ওপেন করতে বলা হয়েছিল।’’
পাকিস্তানের সেই ঐতিহাসিক সফরে মুলতানে ৫৯ রান করেন যুবরাজ। তার পর লাহৌরের কঠিন পিচে ১১২। সেই সফরে রাওয়ালপিন্ডিতে শেষ টেস্টে করেন ১১৯ বলে ৪৭। এক বছরের মধ্যে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দু’টি ৭০-এর উপরে রান ছিল। এর পরে পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে করাচিতে করেন ১২২। যদিও জাতীয় দলে তারকাখচিত ব্যাটিং অর্ডারে নিয়মিত ভাবে জায়গা করতে পারেননি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবসরের পরে যখন সুযোগের দরজা খুলল, তখন মারণ রোগের সঙ্গে সংগ্রাম শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর।
যুবরাজের কথায়, ‘‘দাদার অবসরের পরে যখন অবশেষে সুযোগ পেলাম, তখন আমার ক্যানসার ধরা পড়েছে। আমার দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কী! আমি একশো টেস্ট খেলতে চেয়েছিলাম। আগুনে সব ফাস্ট বোলারকে খেলে দু’দিন ধরে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিয়েছিলাম আমি টেস্ট ক্রিকেটার হব বলে। কিন্তু বোধ হয় আমার কপালেই ছিল না।’’ যুবরাজ শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১২-তে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবন শেষ করার পাঁচ বছর আগে। সব মিলিয়ে ৪০ টেস্ট খেলে করেছেন ১৯০০ রান, গড় ৩৩.৯২। তাঁর তিনটি সেঞ্চুরি ও এগারোটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে টেস্টে। অন্য দিকে, দেশের হয়ে ওয়ান ডে খেলেছেন ৩০৮টি, টি-টোয়েন্টি ৫৮টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy