জিনেদিন জিদান স্বীকার করলেন রিয়াল মাদ্রিদ যেভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে উঠল তা মোটেই হৃদযন্ত্রের পক্ষে সুখকর কিছু নয়। একই সঙ্গে জানালেন, রীতিমতো কাঠখড় পুড়িয়েই তাঁর দল কিয়েভে ২৭ মে ফাইনাল খেলার টিকিট অর্জন করেছে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘হতে পারে এভাবে ফাইনালে ওঠাটাই আমাদের জন্য ভাল হয়েছে।’’
ফিরতি সেমিফাইনালের বিশ্লেষণ করতে বসে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘উন্মাদের মতো খেলা হয়েছে। তবে আমরা সবাই ম্যাচটা উপভোগ করেছি।’’ নিজেদের মাঠে ২-২ ড্র করে কোনও রকমে রিয়ালের ফাইনালে ওঠা নিয়ে তাঁর আরও কথা, ‘‘ফুটবলে মাঝেমাঝেই ভুগতে হবে। আর কঠিন সমস্যা না কাটিয়ে কখনওই কোনও ক্লাব ফাইনাল খেলতে পারবে না।’’
জিদানকে প্রশ্ন করা হয় কীভাবে বারবার তাঁর দল কোনও না কোনওভাবে ঠিক ফাইনালে ওঠার রাস্তা বের করে ফেলে? রিয়াল-গুরুর জবাব, ‘‘ইতিহাস রচনা করাই তো আমাদের কাজ। অন্য অনেক দলও ইতিহাস গড়েছে। আমার দল কখনও আত্মসমর্পণ করে না। জানতাম কাজটা কঠিন। কিন্তু নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল। তাই লড়াই চালিয়ে গিয়েছি।’’ প্রাক্তন ফরাসি তারকা সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘ফুটবল মানেই আবেগ। আবেগের জন্যই খেলাটাকে এত ভালবাসা। তাই ফাইনালে উঠতে পেরে ভীষণ খুশি আমি। তবে এবার এখনও আমরা কোনও ট্রফি জিততে পারিনি। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠতে পারার আনন্দই আলাদা।’’
বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে নায়ক করিম বেঞ্জেমারও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন জিদান, ‘‘আক্রমণে করিম একাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’’ জিদানের উচ্ছ্বাস কম নয় গোলরক্ষক কেইলোর নাভাসকে নিয়েও। বলেছেন, ‘‘ওর জন্যই আমরা ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাইনি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে তো অসাধারণ কিছু শট বাঁচিয়েছে। বড় ম্যাচেই একজন বড় গোলরক্ষকের জাত চেনা যায়।’’ এদিকে চোট পাওয়া ম্যানুয়েল নিউয়ারের বদলে খেলতে নামা বায়ার্ন গোলরক্ষক সেন উয়েরাইসের দোষেই দ্বিতীয় গোল করতে পেরেছে রিয়াল। উয়েরাইস নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy