Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
বন্ধু থেকে শত্রু সবার তিরে বিদ্ধ সিআর সেভেন

আমার কাছে দল বড়, ওর কাছে ব্যক্তিগত সাফল্য: রুনি

মাঠের বাইরে বন্ধু তাঁরা। ‘লা ডেসিমা’ জেতার পরে তাঁর মোবাইল থেকেই এসেছিল প্রথম এসএমএস। এক সময়ে ‘এক আত্মা এক প্রাণ’ হলেও এই বন্ধুত্বে এখন চিড় ধরে আছে। তাঁরা— ওয়েন রুনি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বিশ্বকাপের আগে আবার সেই সিআর সেভেনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তাঁর প্রিয় সতীর্থ। রুনি বলে দিলেন, “আমি দলের সাফল্যের কথা ভেবে খেলি। ব্যক্তিগত সাফল্যের ব্যাপারটা মাথায় থাকে না। রোনাল্ডো কিন্তু ব্যক্তিগত সাফল্যের কথা ভাবে।”

২০০৬ বিশ্বকাপ। কোলাজে ইংল্যান্ড-পর্তুগাল ম্যাচে চরম বিতর্কের সেইসব মুহূর্ত।

২০০৬ বিশ্বকাপ। কোলাজে ইংল্যান্ড-পর্তুগাল ম্যাচে চরম বিতর্কের সেইসব মুহূর্ত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৪ ০৩:৪৩
Share: Save:

মাঠের বাইরে বন্ধু তাঁরা। ‘লা ডেসিমা’ জেতার পরে তাঁর মোবাইল থেকেই এসেছিল প্রথম এসএমএস। এক সময়ে ‘এক আত্মা এক প্রাণ’ হলেও এই বন্ধুত্বে এখন চিড় ধরে আছে। তাঁরা— ওয়েন রুনি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।

বিশ্বকাপের আগে আবার সেই সিআর সেভেনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তাঁর প্রিয় সতীর্থ। রুনি বলে দিলেন, “আমি দলের সাফল্যের কথা ভেবে খেলি। ব্যক্তিগত সাফল্যের ব্যাপারটা মাথায় থাকে না। রোনাল্ডো কিন্তু ব্যক্তিগত সাফল্যের কথা ভাবে।”

২০০৬ বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড-পর্তুগাল ম্যাচে রেফারিকে উত্তেজিত করে রুনিকে লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য করেন পর্তুগিজ মহাতারকা। মাঠ ছাড়ার সময় ক্যামেরায় ধরা পড়ে রোনাল্ডো রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপছেন। ঠিক মারাদোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ যেমন গেঁথে আছে পিটার শিল্টনের মনে, রোনাল্ডোর এই ঘটনার রেশ আজও কাটেনি রুনির জীবন থেকে। যার আবার প্রমাণ পাওয়া গেল বুধবার রাতে। সাংবাদিক সম্মেলনে বসে যখন ‘ইংল্যান্ডের ব্যাড বয়’কে জিজ্ঞেস করা হল, তাঁর কাছে দল আগে না ব্যক্তিগত সাফল্য আগে। প্রশ্ন শুনেই রুনি তুলনা টানা শুরু করে দিলেন রোনাল্ডোর সঙ্গে। তাঁর প্রাক্তন সতীর্থকে ‘গ্লোরি হান্টারের’ তকমা দিয়ে দিলেন। মোদ্দা কথায়, রোনাল্ডো এমন একজন যে সাফল্যকে তাড়া করতে ভালবাসেন। রুনি বলেন, সিআর সেভেন শুধু নিজের ক্যাবিনেটে ব্যালন ডি’অর দেখতে চায়। “আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কী আগে, অবশ্যই বলব দলগত সাফল্য। রোনাল্ডোর মতো কিংবদন্তি হতে চাই না। বরং দলকে ট্রফি জেতাতে বেশি ভাল লাগে।” শুধু এখানেই থেমে থাকেননি রুনি। নিজের প্রাক্তন সতীর্থকে একহাত নিয়ে বলেন, “রোনাল্ডোকে আমি ভাল করে চিনি। ওর কাছে ট্রফি জেতার থেকেও বেশি জরুরি নিজের ছাপ রেখে যাওয়া। ও চায় সেরা কিছু মুহূর্ত তৈরি করতে। ব্যালন ডি’অর জিততে। আমিও প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছি। কিন্তু কোনও মতেই ট্রফি জেতার থেকে সেই অনুভূতিকে আগে রাখব না।”

২০০৬ বিশ্বকাপের সেই বিতর্কিত মুহূর্তের পরে রুনি বলেছিলেন, “রোনাল্ডোকে যেখানে দেখব, মেরে ফেলব।” শোনা যাচ্ছে, আজও রোনাল্ডোকে বন্ধু বলে স্বীকার করলেও, সিআর সেভেনের সেই বিশ্বাসঘাতকতার মুহূর্ত ভুলতে পারেননি রুনি। কয়েক দিন আগেই ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার বলেছিলেন, রোনাল্ডোর থেকে ফান পার্সির সঙ্গে বেশি ভাল বোঝাপড়া আছে তাঁর। রুনি বলেছিলেন, “ফান পার্সি আর আমার জুটিটা বেশি ভাল। ও আমাকে গোল করতে সাহায্য করে। আমিও তাই করি। রোনাল্ডোর সঙ্গে ভাল করে খেলতে পারতাম না। ও চলে যেত উইংয়ে আর আমি থাকতাম সেন্টার ফরোয়ার্ডে।”

তবে এই মুহূর্তে রোনাল্ডোর চেয়েও রুনির মাথায় বেশি করে আছে ইতালি। বলছিলেন, “এখন ভাবছি ইতালি ম্যাচ নিয়ে। ওদের লিগের খেলা নিয়মিত দেখছি। ভাল করে জানি কী ওদের শক্তি আর দুর্বলতা।” ইতালির ঘরোয়া লিগ কোনও মতেই ইপিএলের উত্তেজনার সামনে আসে না, সেই কথা জানিয়ে রুনি বলেন, “প্রিমিয়ার লিগে সব খেলাই খুব দ্রুত গতিতে হয়। সেরি-এ পুরো উল্টোটা। তাই ইতালির বিরুদ্ধে ভাল গতিতে ম্যাচ শুরু করলে জিততে সমস্যা হবে বলে মনে হয় না পারব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

fifaworldcup fifa world cup 2014 runi ronaldo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE