Advertisement
E-Paper

ঋত্বিকের ডাবলে রানের পাহাড়ে বাংলা

কোচবিহার ট্রফির শেষ চারের সিংহ দরজায় বাংলাকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া। রঞ্জি ট্রফিতে সিনিয়রদের ব্যর্থতার প্রেক্ষপটে জুনিয়র-তত্ত্ব আমদানির আওয়াজকে আরও জোরালো করা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:৫৪
ঋত্বিক। কোচবিহারে ২২৫।

ঋত্বিক। কোচবিহারে ২২৫।

কোচবিহার ট্রফির শেষ চারের সিংহ দরজায় বাংলাকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া।

রঞ্জি ট্রফিতে সিনিয়রদের ব্যর্থতার প্রেক্ষপটে জুনিয়র-তত্ত্ব আমদানির আওয়াজকে আরও জোরালো করা।

স্থানীয় ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ফর্ম যে ফ্লুক নয়, প্রমাণ করে দেওয়া।

কল্যাণীতে সিএবি-র বেঙ্গল অ্যাকাডেমির মাঠে ঋত্বিক রায়চৌধুরীর দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি ঠিক এগুলোই করে রাখল। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে কোচবিহার ট্রফির (অনূর্ধ্ব ১৮) কোয়ার্টার ফাইনালে ঋত্বিক ও অগ্নিভ পানের ৪১২ রানের পার্টনারশিপ বাংলাকে এখন টুর্নামেন্ট সেমিফাইনালের স্বপ্নও দেখাচ্ছে। অগ্নিভর দুর্ভাগ্য, অপরাজিত থেকেও ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন না। ১৮০ করে নটআউট থেকে গেলেন। ঋত্বিক সেটা পেলেন। করলেন ২২৫। আঠারোটা বাউন্ডারি ও চারটে ওভার বাউন্ডারি মেরে বুঝিয়ে রাখলেন গত দশ দিনে স্থানীয় ক্রিকেটে তাঁর দু’টো সেঞ্চুরি ফ্লুক ছিল না।

মোট ৪৩৭ বল গোটা ইনিংসে খেলেন ঋত্বিক। গত কাল যিনি অপরাজিত ছিলেন ১৩২ রানে। ঋত্বিক-অগ্নিভের দাপটে বাংলা ছাড়ল ৬২৯-৫ তুলে! জবাবে তামিলনাড়ু ইতিমধ্যেই ধুঁকছে। তারা ১১২-৪। গত কালই যে দুইয়ের ইনিংস দেখে বাংলার নির্বাচকমহলে বলাবলি চলেছিল, সিনিয়র টিম গাজিয়াবাদে না পারলে এঁদের দেখে তো নেওয়াই যায়। কত আর খারাপ করবে?

ঋত্বিক সে সবে ঢুকতে চান না। বললেন, “গত কয়েকটা মরসুমে বাংলার সিনিয়র টিমে জুনিয়রদেরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমি নিশ্চয়ই চাইব দ্রুত বাংলার হয়ে খেলতে। চাইব, পারফর্মটা সে ভাবে করে যেতে। কিন্তু তাই বলে এখনকার কাজকে উপেক্ষা করব না। যা করছি, মন দিয়ে করব।” ময়দানের ক্লাব ক্রিকেটে যে ডান হাতি ব্যাটসম্যানের হাতেখড়ি বারো বছর বয়সে। “ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকতাম। যাকে পারতাম তাকে দিয়ে বল করাতাম,” বলছিলেন ঋত্বিক। শুধু একটা ব্যাপার এখনও ঠিক করতে পারেননি। আদর্শ কে, জানেন না। জিজ্ঞেস করলে তিনটে নাম আসে।

সচিন তেন্ডুলকর, জাক কালিস এবং ভিভ রিচার্ডস।

বৃষ্টি ভাবাচ্ছে লক্ষ্মীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

ভিলেন বরুণদেব। আর সেই বৃষ্টির সৌজন্যেই উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলার রঞ্জি ম্যাচ ধুয়ে যাওয়ার মুখে। ফলে লক্ষ্মীরতন শুক্লদের রঞ্জি ট্রফির নকআউট পর্যায়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় বিশ বাঁও জলে।

বৃহস্পতিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টির জন্য একটি বলও খেলা হল না। যার ফলে চাপ বাড়ল বাংলারই। কারণ, গ্রুপের অন্যতম দুর্বল দল উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ছ’পয়েন্ট দরকার ছিল বাংলার। কিন্তু আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস শুক্রবারও বৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে এখন মাথায় হাত অশোক মলহোত্রের।

প্রথম দিন টসে হেরে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। কিন্তু কুলদীপ যাদব, অমিত মিশ্রদের সামনে বাংলা চার উইকেট হারিয়ে তোলে ১৪১ রান। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৬০) আউট হয়ে গেলেও ঋদ্ধিমান সাহা অপরাজিত রয়েছেন ৪৫ রানে। অন্য ম্যাচে, মুম্বইকে ১৪১ রানে গুটিয়ে দিয়ে তামিলনাড়ু প্রথম ইনিংস শেষ করেছে ৪১৭। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বইয়ের রান ১২-১।

অন্য ম্যাচে, মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রান পেলেন জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়া দিল্লির গৌতম গম্ভীর এবং বীরেন্দ্র সহবাগ। পরবিন্দর আওয়ানা, রজত ভাটিয়াদের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৩০ রানে। জবাবে দিনের শেষে চার উইকেট হারিয়ে দিল্লির রান ২৪০। সহবাগ ৬৬ রানে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেও ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে যান গৌতম গম্ভীর। বোলাঙ্গিরে গাঁধি স্টেডিয়ামে অন্য ম্যাচে প্রথম ইনিংসে রাজস্থানের ৩০৫ রানের জবাবে ওড়িশা করেছে ৯ উইকেটে ১৪৪।

bengal ranji trophy writick
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy