দুই তারকার দুই বচন! এক তারকার রাজ্যপাট রুপোলি পর্দায় হলে আর এক তারকার সাম্রাজ্য আবার ক্রিকেট মাঠে।
রবিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম পর্ব দেখে এক তারকা যখন প্রবল আশাবাদী পরবর্তী নব্বই মিনিট নিয়ে। আর এক তারকা তখন কিছুটা হতাশ গোল না হওয়ার জন্য।
প্রথম জন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় মাঠে এসেছিলেন ফুটবল পাগল পুত্র তৃষাণজিতের হাত ধরে। বিরতিতে যখন ম্যাচ গোলশূন্য তখন ‘লড়াই’-এর নায়ককে উদ্দেশ্য করে গ্যালারি থেকে উড়ে আসছিল কলকাতার সমর্থকদের নানা আবদার। “দাদা আপনি লাকি। মাঠে যখন এসেছেন আজই ফাইনাল কনফার্মড হয়ে যাবে।” যা শুনে ভিভিআইপি এনক্লোজারে হাসছিলেন প্রসেনজিত্। পাশ থেকে গার্গী রায়চৌধুরী ঠিক তখনই আবার বলে বসলেন, “আগের ম্যাচে মাঠে আসার পর টিমটা সেমিফাইনালে উঠেছিল। আর আজ ফাইনালের রাস্তাটাও ঠিকঠাক বানিয়ে নিলে দারুণ হবে।” সিলভারস্ক্রিনের আর এক নক্ষত্র পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় তখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাচ দেখার জন্য।
প্রসেনজিত্ তাঁর ভক্তদের পাল্টা দিলেন খেলার পরে। “গোয়াতে জিতবই। পুণে থেকে ছেলে সদ্য বাড়িতে এসেছে। সৌরভ শনিবার ওকে বলেছিল মাঠে আসতে। তাই ছেলে আজ জার্সি পরেই মাঠে চলে এল। ওর সঙ্গে আমিও।” কিন্তু এ রকম ম্যাড়মেড়ে পারফরম্যান্সের পর গোয়াতে জেতার আশা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না? ফের মুখ খুললেন প্রসেনজিত্। এ বার যা বললেন তা তাঁর অনুরাগীদেরও চুপ করিয়ে দিতে পারে। “গোয়াতে তো আগেও জিতেছি। এ বারও জিতব। তারপর ফাইনালে মুখোমুখি হবে আমার দাদা আর ভারতের অন্যতম আর এক সেরা ক্রিকেটার (পড়ুন সচিন)।” অর্থাত্ কলকাতা-কেরল ফাইনালের ভবিষ্যদ্বাণী একপ্রকার করেই গেলেন তিনি।
যা শুনে হাসছেন সৌরভ। প্রথমে বললেন, “আগে তো সেমিফাইনালটা টপকাই। তার পর বাকিটা ভাবা যাবে।” প্রসেনজিত্ যখন কলকাতা-কেরলের পূর্বাভাস দিচ্ছেন সৌরভ তখন ছিলেন ড্রেসিংরুমে। গোটা টিমকে পরের ম্যাচের জন্য উদ্বুদ্ধ করে সেখানে টিম মালিক বলেন, “গোয়ায় গিয়ে জিততেই হবে।” আর তার পর বাইরে এসে বললেন, “গোয়ায় অর্ণব, ফিকরু, হোফ্রেরা ফিরবে। আমরাও পুরো শক্তি নিয়ে নামব।” কিন্তু এ দিনের পারফরম্যান্স। যা নিয়ে কিছুক্ষণ আগেই রবার্ট পিরেস, নীতা অম্বানিদের সঙ্গে ছবি তুলে বেরোনোর সময় দেল পিয়েরো বলে গিয়েছেন, “দুই কোচের ট্যাকটিক্যাল লড়াই দেখলাম। মাঝে মাঝে একটু একঘেয়ে লাগছিল। দেখি পরের নব্বই মিনিটে কী হয়।”
যা শোনার পর এ বার একটু হতাশ ‘প্রিন্স অব কলকাতা’-র গলা। “আজ একটা গোল করে রাখতে পারলে ভালই হত। গোয়ায় যাচ্ছি। দেখা যাক সেখানে কী হয়।”