চিন্তায় রাখছেন সুয়ারেজ
লুই সুয়ারেজকে নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় উরুগুয়ে শিবির! ট্রেনিংয়ে পা মচকানোর পর প্রিমিয়ার লিগের মরসুম সেরা ফুটবলার হাঁটুতে অস্বস্তি বোধ করছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে হাঁটুর মেনিসকাস-এ গুরুতর চোট লেগেছে লিভারপুল তারকার। বিশ্বকাপ আসন্ন। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে তাঁর। অস্ত্রোপচার করেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার এনজো ফ্রান্সেসকোলির ভাই, শল্য চিকিৎসক লুই ফ্রান্সেসকোলি। উরুগুয়ে শিবিরের আশা, তিন সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবেন সুয়ারেজ। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, হাঁটুর কার্টিলেজে অস্ত্রোপচার হলে পুরো সুস্থ হতে কমকরে চার থেক ছ’সপ্তাহ লেগে যায়। ফলে বিশ্বকাপে শুরুর দিকের ম্যাচগুলোয় সুয়ারেজের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছেই। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বে দলের সঙ্গে অনুশীলনও করতে পারবেন না তিনি। বলা হচ্ছে, সুপরিকল্পিত পুনর্বাসনের মধ্যে দিয়ে গিয়ে সুয়ারেজ যদিও বা বিশ্বকাপের আগে আগে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তবুও অনুশীনলের অভাবের ছাপ তাঁর পারফরম্যান্সে পড়তে বাধ্য।
সাবেয়ার দলে ছাঁটাই চার
বিশ্বকাপের সেরা দল বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় তিরিশ জনের স্কোয়াড থেকে চার ফুটবলারকে ছাঁটাই করলেন আর্জেন্তিনা কোচ আলেজান্দ্রো সাবেয়া। লিওনেল মেসির পাশে আর্জেন্তিনার জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল দুই স্ট্রাইকার ফ্রাঙ্কো দি স্তেফানো ও লিসান্দ্রো লোপেজের। মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রিনাউদো এবং রক্ষণে গাব্রিয়েল মার্কাদোকে জানিয়ে দেওয়া হল, বিশ্বকাপের টিকিট জুটছে না। আর্জেন্তিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে এই চার জনের ছাঁটাইয়ের খবর দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ জুন ফিফার কাছে ২৩ জুনের চূড়ান্ত তালিকা পেশের আগে আরও তিন ফুটবলারকে বাদ দিতে হবে।
শাকিরার ভিডিওয় মেসি
পিট বুল, জেনিফার লোপেজ আর ব্রাজিলীয় পপ তারকা ক্লদিয়া লিয়েত-এর ত্রোহস্পর্ষেও নাকি তেমন জমছে না বিশ্বকাপের সরকারি গান ‘উই আর ওয়ান’! সমালোচকরা বলছেন গানটায় নাকি ক্লিশে-র ছড়াছড়ি। ফুটবল বা বিশ্বকাপ নয়, গানের বেশিটা জুড়েই নাকি নানা দেশের জাতীয় পতাকার জয়গান। ফলে বাজার ধরে ফেলেছে শাকিরার নিজস্ব বিশ্বকাপ বন্দনা ‘লা লা লা’। গানের থেকেও বড় হিট গানের ভিডিও! যাতে মেসি থেকে নেইমার, ফাব্রেগাস, আগেরো, ফালকাও এবং নিজের সন্তানের বাবা পিকে-কে হাজির করিয়েছেন শাকিরা। তবে ভিডিওয় মেসিও ম্লান মিলানের পাশে! মিলান, মানে শাকিরা আর পিকের ছোট্ট ছেলে।
গরম সামলাতে গলদঘর্ম
ব্রাজিলের ভ্যাপসা গরমেও নিজেদের সেরাটা দিতে তৈরি হচ্ছে ইউরোপের দলগুলো। গরমের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে নানা রাস্তা নিচ্ছে নানা টিম। সিজার প্রান্দেলির ইতালি ইতিমধ্যেই চমকে দিয়েছে সনা-র গরম বাস্পের মধ্যে ট্রেনিং করে। তবে গরমের মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি তোড়জোড় চালাচ্ছে সম্ভবত ইংল্যান্ড। পর্তুগালে ওয়েন রুনিদের শিবিরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিজ্ঞানীদের একটি টিমকে। তাঁরা ইংল্যান্ড দলকে নিয়ে যে পরীক্ষা চালাচ্ছেন, তার নাম “বিয়িং কমফর্টেবল বিয়িং অনকমফর্টেবল”, মানে “অস্বস্তির মধ্যেও স্বস্তিতে থাকা”। তিন পরত জামাকাপড় পরিয়ে ট্রেনিং করানো হচ্ছে ফুটবলারদের। সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো থাকছে বিশেষ ধরনের প্যাচ। যা থেকে বিজ্ঞানীরা প্রত্যেকের ঘাম ঝরার মাত্রা হিসাব করে দেখে নিচ্ছেন কতটা গরমে কার শরীর থেকে কতখানি জল বেরিয়ে যাচ্ছে, কে হারাচ্ছেন কত পরিমাণ ইলেকট্রোলাইট। ঘাম নিয়ে এমন সব জটিল হিসাবনিকাশের পর প্রত্যেক ফুটবলার জন্য তাঁর শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা হবে নির্দিষ্ট রিকভারি ড্রিঙ্ক। যা পানে প্রবল গরমের মধ্যেও নিমেশে তরতাজা হয়ে যাবেন রুনি, বেলরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy