প্র্যাকটিসে অন্য মেজাজে। সিরিয়াস বালোতেলি।
ব্রাজিলে গরমের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য মার্কিন মুলুকে অনুশীলনের ব্যবস্থা রেখেছেন।
বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সের শীর্ষে থাকার জন্য তরুণ রহিম স্টার্লিং, লিউক শ, রস বার্কলেদের পর্তুগালের প্রস্তুতি শিবিরে নিয়ম করে পেপ টক দেওয়ার পাশাপাশি বালোতেলি, কাভানিদের খেলার ভিডিও অ্যানালিসিস-এও ছাড় দিচ্ছেন না।
সিনিয়র প্লেয়ার রুনি, জেরারদের জন্য বিশেষ অনুশীলনেরও ব্যবস্থা করেছেন ইংল্যান্ড ম্যানেজার রয় হজসন।
কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই যে প্রতিপক্ষ সিজার প্রান্দেলির ইতালি। ১৪ জুন মানাউসের সেই ম্যাচের আগে বালোতেলিদের বুঝে নিতে এ বার গোয়েন্দাগিরি শুরু করার পরিকল্পনাও নিলেন হজসন।
কী সেই পরিকল্পনা? ৩০ মে ওয়েম্বলিতে পেরুর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ রুনিদের। তার পরদিনই হজসনের পুরনো ক্লাব ফুলহ্যামের ঘরের মাঠ ক্র্যাভেন কটেজে ইতালি মুখোমুখি হবে আয়ার্ল্যান্ডের। ইংরেজদের গোটা বিশ্বকাপ দল সে দিন ওয়েম্বলিতে বক্সিং ম্যাচ দেখতে গেলেও হজসন কিন্তু যাবেন ইতালিকে মাপতে। কোচ গ্যারি নেভিল এবং সহকারী কোচ রে লিউইংটনকে নিয়ে। কিন্তু সমস্যা হল হজসনের এই পরিকল্পনার কথা মিডিয়ায় আগে ভাগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে। যার জেরে কিছুটা সুর বদলে হজসনকে বলতে হচ্ছে, “ইতালিকে দেখতে যাচ্ছি সেটা ঠিক। কিন্তু ওই ম্যাচ দেখে কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। কারণ, ওরা এই সব ম্যাচে নিজেদের আসল স্ট্র্যাটেজি ইচ্ছে করেই প্রয়োগ করবে না। তবে ওদের কয়েক জন ফুটবলারের বর্তমান ফর্ম সম্পর্কে কিছুটা আভাস তো পাওয়া যাবেই।” তবে ইতালির কোচ সিজার প্রান্দেলিও কম যান না।
প্র্যাকটিসে অন্য মেজাজে। ছেলেকে নিয়ে রুনি।
রুনিদের চাপে রাখতে হুঙ্কার দিয়েছেন, “প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যাবে। সুতরাং প্রথম ম্যাচের ওই তিন পয়েন্ট দরকার যে কোনও মূল্যে।” আর হজসনের ইতালিকে মেপে নেওয়ার পরিকল্পনা? সেটাও প্রান্দেলি সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে শুনে পাল্টা দিয়েছেন হজসনকে। “চূড়ান্ত দলটা এখনই বাছব না। মাথায় থাকলেও একদম শেষ মুহূর্তে ৩১ জনের থেকে ২৩ জনের নাম ঘোষণা করব।” ফলে কিছুটা হলেও বানচাল করবে হজসনের পরিকল্পনা। প্রান্দেলি নিজের দল নিয়েও কম জেরবার নন। এ দিনই ফ্লোরেন্সে ইতালির অনুশীলন চলাকালীন দলের তারকা স্ট্রাইকার মারিও বালোতেলিকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেন সমর্থকরা। বালোতেলি ওই সমর্থকদের প্ররোচনায় পা দিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া না দিলেও পরে সতীর্থদের বলেন, “এই ঘটনা দুঃখ বাড়ায়। আর বর্ণবিদ্বেষের এই সংস্কৃতি রোম আর ফ্লোরেন্সেই দেখা যায়।” প্রান্দেলিও এই ব্যাপার নিয়ে মিডিয়ার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলে দেন, “এই সব সমর্থক দলকে ভালবাসে না। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ। সেটা আনতে পারলেই এর জবাব দেওয়া যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy