Advertisement
E-Paper

জিকো: গোয়ায় জিতব আমরাই

ম্যাচ ড্র হওয়ার পরও বেশ হাল্কা মেজাজে পাওয়া গেল আন্তোনিও হাবাস এবং জিকো-- দুই টিমের কোচকেই! কিন্তু সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের ম্যাচ ড্র করেও এ রকম হাল্কা মেজাজে থাকার কারণ কী? কারণ দু’জনেই যে বাহাত্তর ঘণ্টা পরের অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছেন। গোয়ার দাবি, তারা ঘরের মাঠের সুবিধে পাবে বুধবার। আর আটলেটিকোর দাবি, গোয়ার মাঠ তাদের জন্য পয়া! এই মাঠেই তো গোয়াকে ২-১ হারিয়ে এসেছিলেন ফিকরুরা।

তানিয়া রায় ও সোহম দে

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২২

ম্যাচ ড্র হওয়ার পরও বেশ হাল্কা মেজাজে পাওয়া গেল আন্তোনিও হাবাস এবং জিকো-- দুই টিমের কোচকেই!

কিন্তু সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের ম্যাচ ড্র করেও এ রকম হাল্কা মেজাজে থাকার কারণ কী? কারণ দু’জনেই যে বাহাত্তর ঘণ্টা পরের অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছেন।

গোয়ার দাবি, তারা ঘরের মাঠের সুবিধে পাবে বুধবার। আর আটলেটিকোর দাবি, গোয়ার মাঠ তাদের জন্য পয়া! এই মাঠেই তো গোয়াকে ২-১ হারিয়ে এসেছিলেন ফিকরুরা। শুধু তাই নয়, চোট-কার্ডের জন্য মাঠের বাইরে থাকা পাঁচ ফুটবলারকেও পাবেন হাবাস।

রবিবারের ম্যাচের পর সে জন্যই সম্ভবত দুই টিমের কোচ একে অপরকে যেন পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে গেলেন। গোয়ার কোচ জিকো যেমন সরাসরি বলে দিলেন, “ঘরের মাঠে জয়ের ব্যাপারে আমি একশো শতাংশ আশাবাদী। মুম্বইয়ে ফাইনাল খেলব আমরাই।”

এর কিছুক্ষণ পরই সাংবাদিক সম্মেলন করতে আসেন হাবাস। তিনি আবার পাল্টা বলে দেন, “গ্রুপ লিগের ম্যাচে গোয়াতে গিয়ে আমরা জিকোর টিমকে হারিয়ে এসেছি। এ বারও তাই হবে। চোট এবং কার্ড সমস্যা মিটিয়ে আশা করছি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সবাইকে পাব।”

এ দিনের ম্যাচ গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ার পর কারা বেশি সুবিধে পেল, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। ঘরের মাঠে প্রথম সেমিফাইনালের ম্যাচ খেলতে নামার আগে চোট সমস্যায় জেরবার আটলেটিকো যেন ড্র করেই অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে। ফুটবলারদের কথা শুনে অন্তত তাই মনে হল। টিমের মার্কি ফুটবলার গার্সিয়া বলছিলেন, “প্রথম একাদশের অনেক ফুটবলারকে আমরা এ দিন পাইনি। প্রথম সেমিফাইনালে গোয়া কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল। তাই ম্যাচের ফল ড্র হলেও আমাদের কাছে খারাপ নয়। গোয়াতে গিয়ে আমরা আবার ওদের হারাব।”

উল্টোদিকে যুবভারতীর কৃত্রিম ঘাসের মাঠে অ্যাওয়ে ম্যাচে কলকাতাকে আটকে দেওয়া বাড়তি প্রাপ্তি মনে করছেন আন্দ্রে সান্তোস, দেবব্রত রায়রা। স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে ব্রাজিলিয়ান তারকা বলে গেলেন, “ম্যাচ ড্র হওয়ায় আমরা খুশি। জিততে পারলে ভাল লাগত। কিন্তু এই মাঠে কলকাতাকে আটকে দেওয়াটাও কম কৃতিত্বের নয়।”

তবে কলকাতা যখন গোয়ার মাঠে চোট এবং কার্ড সমস্যা মিটিয়ে ফিকরু, বলজিত্‌, অর্ণবদের পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী, তখন টিমের নিয়মিত এবং প্রতিভাবান ফুটবলার নারায়ণ দাসের হাঁটুর চোট বড় ধাক্কা জিকোর টিমের কাছে। আটচল্লিশ ঘণ্টা না কাটলে নারায়ণের চোটের ব্যাপারে কিছুই বলতে পারছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। নারায়ণের চোট কি কলকাতার পয়া মাঠে খেলতে যাওয়ার আগে আগাম সুখবর বয়ে নিয়ে এল?

কলকাতা আর গোয়া এ বার আইএসএলে তিন বার মুখোমুখি হয়েছে। পরিসংখ্যানের বিচারে এগিয়ে রয়েছে হাবাসের টিমই। তারা এক বার অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতেছে এবং ঘরের মাঠে দু’বার ড্র করেছে। এখন দেখার, সেমিফাইনালের বাকি নব্বই মিনিটে গোয়ার বিরুদ্ধে ফিকরু-গার্সিয়ারা অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখতে পারেন কিনা!

isl atletico de kolkata f c goa tania roy sohom dey zico
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy