শুক্রবার ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের অনুষ্ঠানে। —নিজস্ব চিত্র
নতুন মরসুমের শুরু থেকেই ট্রফির জন্য ঝাঁপাবেন সুভাষ ভৌমিক।
ইদানীং যে লিগকে নিছক আই লিগের প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট ভাবতেন বড় ক্লাবের কোচেরা সেই কলকাতা লিগকেই পাখির চোখ করেছেন মোহনবাগান টিডি। তিন বারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন কোচ সুভাষ শুক্রবার এমনও বলে দিলেন, “কলকাতা লিগ আমার কাছে জীবন-মৃত্যুর পরেই। প্রত্যেকটা ম্যাচ আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচটা। যে কোনও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ জিততে পারলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আমিও টিমের মনোবল শুরু থেকেই বাড়িয়ে রাখতে চাই।”
কলকাতা লিগে সুভাষের বাগানের প্রথম প্রতিপক্ষ সুব্রত ভট্টাচার্যের টালিগঞ্জ অগ্রগামী। সোমবার সেই ম্যাচে বিপক্ষ রিজার্ভ বেঞ্চে ময়দানের ‘বাবলু’ থাকবেন বলে কি ম্যাচটার গুরুত্ব আরওই অন্য রকম? বিনয়ী ভঙ্গিতে ‘বন্ধু’ সম্পর্কে সুভাষের জবাব, “কোনও ম্যাচের গুরুত্বই আমার কাছে কম নয়। তবে সুব্রত ভট্টাচার্য এক জন অভিজ্ঞ কোচ। দু’বার আই লিগ জিতেছেন। দীর্ঘ দিন মোহনবাগানে কোচিং করিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলেও ট্রফি জিতেছেন। সুব্রতবাবুর মধ্যে বড় কোনও গুণ আছে বলেই তো টালিগঞ্জ ওনাকে দায়িত্ব দিয়েছে। ম্যাচটা সহজ হবে না। লড়াই করে জিততে হবে।”
চার বছর ধরে মোহনবাগানে ট্রফি নেই। সুভাষের কাছে চ্যালেঞ্জ সেই দীর্ঘ ট্রফি-খরা থেকে বাগানকে মুক্ত করা। মুক্তি দেওয়া সেই সব কটাক্ষ থেকে যেখানে বলা হচ্ছে, ‘বাগানে তো ট্রফির ছায়াও ঢোকে না’। সুভাষ অবশ্য পাল্টা উত্তেজক মন্তব্য না করে শুধু বললেন, “আমাকে যদি কলকাতা লিগের কোনও ম্যাচ না খেলেও ট্রফি দিয়ে দেওয়া হয়, তা হলেও নিয়ে নেব। আমাকে যে করেই হোক ক্লাবকে ট্রফি দিতে হবে। এটা তো সত্যিই যে, আমরা অনেক দিন ট্রফি পাইনি। আর সেটাই চ্যালেঞ্জ আমাদের। ছেলেদেরও বুঝিয়েছি।”
যুদ্ধের প্রস্তুতি। কাতসুমিদের নিয়ে নেমে পড়লেন সুভাষ। ছবি: উৎপল সরকার
কিছু দিন আগেই ইস্টবেঙ্গল কোচ আর্মান্দো কোলাসো ডার্বির প্র্যাকটিস ম্যাচ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সুভাষ অবশ্য লাল-হলুদ কোচের সঙ্গে পুরোপুরি একমত হতে পারছেন না। “আর্মান্দো গোয়ার যে ফুটবল পরিবেশ থেকে উঠে এসেছেন, সেখানে একটা বড় ক্লাবের সঙ্গে আর একটা বড় ক্লাবের প্র্যাকটিস ম্যাচ হয়। কিন্তু সেটা এখানে সম্ভব নয়। কলকাতা ডার্বি কখনওই প্র্যাকটিস ম্যাচ হতে পারে না। এই ম্যাচের সঙ্গে প্রচুর ফুটবলপ্রেমীর আবেগ জড়িয়ে। কোনও অঘটন ঘটলে তখন চামড়া বাঁচাব, না বড়-বড় কথা বলব? তা ছাড়া ইপিএল বা লা লিগায় কখনও শুনেছেন, ম্যান ইউ-লিভারপুল কিংবা রিয়াল-বার্সেলোনা প্র্যাকটিস ম্যাচ হচ্ছে!”
নতুন মরসুমে সুভাষের মূলমন্ত্র পাসিং ফুটবল। ৯ জুন থেকে প্র্যাকটিসেও সেই দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন বাগান টিডি। তবে এর ফাঁকেই আবার ‘এ’ লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, সুভাষ দেখাচ্ছেন ক্লাবকে। এবং বাগানের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্তের এই প্রসঙ্গে মন্তব্য, “ফেডারেশন এবং এএফসি-কে বিষয়টা জানিয়েছি। এএফসি ফেডারেশনকে কিছু নির্দেশ দিয়েছে। সেটা ফেডারেশন আমাদের জানালে, আমরা সেই মতো এগোব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy