Advertisement
E-Paper

তৃতীয় স্থানের ম্যাচ কেন, প্রশ্ন ফুটবল দুনিয়ায়

নিছক সান্ত্বনা পুরস্কারের খেলা? না কি টুর্নামেন্টের অন্য ম্যাচগুলোর মতোই গুরুত্বপূর্ণ? আগামী দিনে বিশ্বকাপের ক্রীড়াসূচিতে বহাল তবিয়তেই থাকবে? না কি ক্রীড়াসূচি থেকে বাদ দেওয়ার জন্য এখনই চিন্তা-ভাবনা করা উচিত? বিশ্বকাপ ফুটবলের তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচ নিয়ে এ রকমই বিতর্ক দুনিয়া জুড়ে। যা আরও বেশি মাত্রা পেয়েছে সেমিফাইনালের পর লুই ফান গলের একটি মন্তব্যে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৪ ০৩:৪৪
ব্রাসিলিয়ায় ফান পার্সির গোল।

ব্রাসিলিয়ায় ফান পার্সির গোল।

নিছক সান্ত্বনা পুরস্কারের খেলা? না কি টুর্নামেন্টের অন্য ম্যাচগুলোর মতোই গুরুত্বপূর্ণ? আগামী দিনে বিশ্বকাপের ক্রীড়াসূচিতে বহাল তবিয়তেই থাকবে? না কি ক্রীড়াসূচি থেকে বাদ দেওয়ার জন্য এখনই চিন্তা-ভাবনা করা উচিত?

বিশ্বকাপ ফুটবলের তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচ নিয়ে এ রকমই বিতর্ক দুনিয়া জুড়ে। যা আরও বেশি মাত্রা পেয়েছে সেমিফাইনালের পর লুই ফান গলের একটি মন্তব্যে।

কী বলেছেন গল? আর্জেন্তিনার কাছে টাইব্রেকারে হারের পর রবেনদের কোচ আক্ষেপের সুরেই মিডিয়ার কাছে বলে বসেন, “বিশ্বকাপটাই তো শেষ হয়ে গেল আমাদের। বাকি আর কী পড়ে রইল! তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচ! আমার মতে এই ধরনের ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।”

কেন এই মন্তব্য? ফান গলের যুক্তি, “কেউ না কেউ তো হারবেই। যারা হারবে তারা কিন্তু সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠে এসেছিল স্বপ্নের ফুটবল খেলে। কিন্তু পরপর দু’ম্যাচ হেরে দেশে ফিরবে গায়ে পরাজিত স্টিকার সেঁটে।”

শুধু ফান গলই নয়, জার্মানির কাছে এ বার সেমিফাইনালে হেরে ব্রাজিলের লেফট ব্যাক মার্সেলোও বলে ফেলেছিলেন প্রায় এক রকমের কথা। “তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচ না খেললেই ভাল। কারণ ওই ম্যাচটা খেলার মতো মোটিভেশনই নেই।”


পেলে ব্যস্ত স্যান্ডউইচ তৈরিতে।

রিও-তে ফুটবল সম্রাট। শনিবার।

প্রথম বিশ্বকাপে অনুষ্ঠিত না হলেও দ্বিতীয় বিশ্বকাপ থেকেই চালু রয়েছে বিশ্বকাপে ফিফার এই তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচের। প্রথম বার জার্মানি ৩-২ হারিয়েছিল অস্ট্রিয়াকে। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফাউলের বন্যা, বক্সের সামনে অহেতুক ডাইভ দেওয়ার প্রবণতা, ডিফেন্সিভ ফুটবল এই সবই দেখা যায়। তবে আকর্ষক ব্যাপারও যে ঘটে না তা নয়। যেমন এক যুগ আগে ২০০২-এ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে এই তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচেই মাত্র ১১ সেকেন্ডে বিশ্বকাপের দ্রুততম গোল করে গিয়েছিলেন তুরস্কের হাকান সুকুর। ম্যাচটা জিতেওছিল সুকুরের দেশ। কিন্তু ঘরের মাঠে ৬০ হাজার সমর্থকের সামনে ২-৩ হেরে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল সমর্থকদের কাছে নেমে এসেছিল অন্ধকার।

ফান গল আশ্বস্ত হতে পারেন এটা জেনে যে, এই তৃতীয় স্থান নির্ধারণের খেলায় ১৯ বারের মধ্যে পর পর আট বার জিতেছে ইউরোপের দলই। তবে ব্রাজিল কোচ লুই ফিলিপ স্কোলারি অবশ্য এই ম্যাচ নিয়েও একাগ্র। জার্মানির কাছে সাত গোলের সুনামির ধাক্কা সামলে তৃতীয় স্থানের ম্যাচের আগে স্কোলারি বলছেনও সে কথা। “জীবন এগিয়ে যাবেই। আমাদের অতীত নিয়ে না ভেবে সামনে তাকাতে হবে পরবর্তী লক্ষ্যের জন্য। আপাতত আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচটা জেতা।”

অলিম্পিকে তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচ রয়েছে ব্রোঞ্জ পদকের জন্য। ফুটবলেও কোপা আমেরিকা এবং কনফেডারেশনস কাপে রয়েছে তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচ। কিন্তু ইউরো বা কনকাকাফ গোল্ড কাপে খেলা হয় না তৃতীয় স্থানের ম্যাচ। অন্য খেলার মধ্যে ক্রিকেট এবং রাগবির বিশ্বকাপেও নেই তৃতীয় স্থানের ম্যাচ। সেই ধারা অনুসরণ করে ফুটবলের বিশ্বকাপেও এই ম্যাচের যৌক্তিকতা এখান ভাবাচ্ছে ফিফা কর্তাদের।

ছবি: এএফপি

শিশু মনে বেকহ্যাম
নিজস্ব প্রতিবেদন


বেকহ্যাম। বাচ্চাদের বিচারে সেরা।

ফুটবল মাঠে তাঁর ড্রিবল দেখে ফুটবল প্রেমীরা তো কবেই তাঁকে মনে জায়গা দিয়ে রেখেছেন। তাঁর মতো ‘হ্যান্ডসম’ ফুটবলারের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন না জানি কত যুবতী। তবে ছোটদের মনেও যে তিনি স্বমহিমায় বিরাজ করেন, তা কে জানত! মাঠে এবং মাঠের বাইরে ইংল্যান্ডের তারকা ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের ভূমিকা দেখার পর ক্ষুদেরা তাঁকেই সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছ। ছোটদের একটি জনপ্রিয় চ্যানেলে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানে ছোটরা ‘কিডস চয়েস স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে’র জন্য বেকহ্যামকেই মনোনীত করেছে। ওই টিভি চ্যানেলের তরফ থেকে জানানো হয়, “বিষয়টি কিছুটা আশ্চর্যের। তবে এটাই সত্যি যে ছোটরা প্রত্যেকেই প্রথমে যে নামটি বলেছে, সেটা বেকহ্যামের।”

third place pele fifaworldcup
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy