স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার অনুভূতি ঠিক কী রকম, বীরেন্দ্র সহবাগকে দেখে বোঝার উপায় নেই।
দিল্লির বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের আশা ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপের সম্ভাব্য ৩০ জনের দলে থাকবেন। মঙ্গলবারই খোলাখুলি জানিয়েছিলেন ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধে এ বারও টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে নামার আশা ছাড়ছেন না। কিন্তু প্রায় দু’বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকা সহবাগের আশা মিটল কোথায়!
রবিবার সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লি, রোশনারা ক্লাব মাঠে। যেখানে সহবাগ প্র্যাকটিসে আসেন শুক্রবারও। নেটে ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং অনুশীলন করেন। তার পর কেউ কিছু জানার আগেই মাঠ থেকে বেরিয়ে যান।
একই অবস্থা দিল্লির আর এক তারকা ওপেনার গৌতম গম্ভীরেরও। ২০১৫ বিশ্বকাপের সম্ভাব্য তিরিশের তালিকায় জায়গা পাননি তিনিও। এ দিন প্র্যাকটিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও গম্ভীর আগেই স্পষ্ট করে দেন বিশ্বকাপ নিয়ে কোনও কথা বলতে চান না। দিল্লির রঞ্জি প্রস্তুতি নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন। তাই রোশনারা ক্লাবের মাঠে খেলা নিয়ে বলে দেন, “কোটলার ব্যাটিং বন্ধু উইকেটে খেলাটা সুবিধেজনক সেটা জানি। কিন্তু দল যদি নক আউটেই না যেতে পারে, তা হলে ৮০০ রান করে লাভটা কী? বোলারদেরও তো কুড়িটা উইকেট নিতে হবে জিততে গেলে। এই পিচে আমার কাছে পাঁচ জন পেসার খেলানোর সুযোগ রয়েছে।”
গম্ভীরের মতো বিশ্বকাপ নিয়ে কিছু না বললেও নেটে সহবাগের ব্যাট যেন তাঁর মেজাজের আভাস দিচ্ছিল। ব্যাটের সামনে যা-ই পাচ্ছিলেন সব কিছুই ওড়ানোর জোশে ছিলেন তিনি। অনেক শটই ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। তবু শট নিতে ছাড়ছিলেন না সহবাগ। শেষে তো ক্লাবের লাইব্রেরির জানলার কাচও ভাঙে সহবাগের শটে। মুখে কিছু না বললেও ক্ষোভ আর হতাশাটা বোধহয় এ ভাবেই বেরিয়ে এল নজফগড়ের নবাবের ব্যাটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy