আই লিগে ফেডারেশনের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম বেঙ্গালুরু এফসি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নতুন কর্পোরেট টিমের খোঁজে নামতে চলেছে ফেডারেশন। এ জন্য মে মাসের শুরুতে আগ্রহীদের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে চলেছেন কর্তারা। দরপত্রে অবশ্য নিয়মটা একই থাকছে। তিন বছর অবনমন নেই। পরিকাঠামো এবং ইউথ ডেভলপমেন্টের জন্য কাজ করতে হবে। শোনা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ড থেকে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি এবং কোচি থেকে ঈগল এফ সি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল হিসাবে আসতে চাইছে। দু’টো টিমেরই পরিকাঠামো-সহ সব কিছু আছে। জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে যারা টিম পায়নি তাদের সঙ্গেও কথা বলছেন ফেডারেশন কর্তারা।
তেরো দলের আই লিগে নতুন মরসুমে শেষ পর্যন্ত ক’টি দল এ এফ সি-র পাসপোর্ট পাবে তা নিয়ে ফেডারেশন কর্তারা সন্দিহান। রাংদাজিদ বাতিল হতে চলেছে কাগজপত্র জমা না দেওয়ার জন্য। শোনা যাচ্ছে, অবনমনের আওতায় থাকা চার্চিল ব্রাদার্সও যে কাগজপত্র জমা দিয়েছে তাতে প্রচুর ত্রুটি আছে। আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর বললেন, “ক’টা দলকে নিয়ে পরের বার আই লিগ হবে তা ঠিক হয়নি। মে মাসে লাইসেন্সিং কমিটির সভা বসবে সেখানেই ঠিক হবে ক’টা দল ছাড়পত্র পেল। আমাদের প্রেসিডেন্ট তো বলেই দিয়েছেন তাতে আট দলের আই লিগ হলেও কোনও সমস্যা নেই।” তিনি জানিয়ে দেন, যে কেউ চাইলেই ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ে যাবে সে সুযোগ নেই। ফেডারেশনের লক্ষ্য দক্ষিণ ভারত, দিল্লি বা যে রাজ্যে ফুটবল নেই সেখান থেকে ভাল কর্পোরেট দল আনা। যেমন গত বার এসেছে বেঙ্গালুরু থেকে।
প্রথম বার খেলতে নেমেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজিরবিহীন কৃতিত্বের পর উচ্ছ্বাসে ভাসছেন সুনীল ছেত্রীরা। সোমবার রাতে মারগাওয়ের বাগা সমুদ্র সৈকতে চলে গিয়েছিল অ্যাশলে ওয়েস্টউডের পুরো টিম। নাচা-গানার পর ফিরতে মঙ্গলবার ভোর হয়ে যায়। কেউই ঘুমোননি। দুপুরে গোয়া ছেড়ে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নামার সময় কাজের শহরেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যানার, ফেস্টুন, নীল রং-এর জার্সি পরে হাজির হয়েছিলেন বহু ছেলে-মেয়ে। ক্রিকেটের শহর কখনও যা দেখেনি। সেখান থেকে পুরো দলটিকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বিয়ার পাবে। যেখানে বিদেশের মতো বেঙ্গালুরুর আই লিগের সব ম্যাচ দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও চলছে পার্টি। কড়া মনোভাবের কোচ অ্যাশলে ওয়েস্টউড পুরো টিমকে দু’দিনের ছুটি দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। আজ বুধবার থেকেই শেষ ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে। সঙ্গে নতুন মরসুমের চুক্তির কাজও। জানা গিয়েছে, সুনীল ছেত্রী-সহ পুরো টিমের প্রায় নব্বই শতাংশের সঙ্গেই দু’বছরের চুক্তি আছে বেঙ্গালুরুর। তবে জনসন-সহ চার বিদেশিরই এক বছরের চুক্তি আছে। জনসনের দিকে অবশ্য কলকাতার দুই প্রধানেরই নজর আছে।
আই লিগের চ্যাম্পিয়ন ঠিক হয়ে গেলেও কাদের অবনমন হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। মহমেডান বা চার্চিল ব্রাদার্স কে নামবে, তা ঠিক হওয়ার আগে অবশ্য দু’টি টিমেই ডামাডোল তুঙ্গে। সোমবারই গোয়া থেকে কলকাতায় ফিরে এসেছেন অসুস্থ সুভাষ ভৌমিক। চার্চিল ফুটবলাররা পাঁচ থেকে সাত মাসের মাইনে পাননি। গোয়ায় সালগাওকরের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সুভাষের টিডি হিসাবে মাঠে থাকার সম্ভাবনা কম। বললেন, “টিম মলদ্বীপ গিয়েছে খেলতে। সুস্থ হলে যাব। না হলে যাব না। এখনও ঠিক করিনি। জ্বর কমছে না সাত-আট দিন ধরে।” চার্চিল তাঁকে মাঠে আসতে বারণ করে দিয়েছেন, এটা অবশ্য মানছেন না তিনি। বললেন, “এ সব নিয়ে কোনও কথা বলব না।” তবে জানালেন, “কলকাতায় আসার কথা চার্চিল আলেমাওকে জানিয়ে আসতে পারিনি। ও তো কারও ফোনই ধরছে না।” মহমেডানের অবস্থাও ভাল নয়। তাদের আবার কোচ মাঠে আসছেন, কিন্তু পেন ওরজির মতো অনেক ফুটবলার মাঠেই আসছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy