বত্রিশ দেশ। প্রতি টিমে তেইশ জন ফুটবলার। মোট ৭৩৬ জন। তা সত্ত্বেও বিশ্বকাপে সব সময় আরও এক জন তারকা থাকে। চার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সেই ৭৩৭তম তারকাটির নাম ছিল ‘জাবুলানি’। এ বার ব্রাজিল বিশ্বকাপে তার নাম ‘ব্রাজুকা’।
২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলের সরকারি বল!
বিশ্বকাপের জন্য আডিডাস-এর বারোতম নির্মিত ফুটবল!
চার বছর আগে জগদ্বিখ্যাত জার্মান ক্রীড়া সরঞ্জাম কোম্পানির তৈরি ‘জাবুলানি’ নিয়ে বিশ্বকাপে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। গোলকিপাররা যেমন তীব্র সমালোচক ছিলেন, তেমনই স্ট্রাইকাররাও! বিশ্বের এক নম্বর গোলকিপার ইতালির বুঁফো বলেছিলেন, “এই বলের গতিপথ সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। ফুটবলারদের কোন শট যে কোন দিকে বাঁক খাবে ঈশ্বরও বোধহয় জানেন না!” আবার ব্রাজিলের স্ট্রাইকার ফাবিয়ানোর মন্তব্য ছিল, “জাবুলানি এক অলৌকিক বল!”
চার বছর পর ব্রাজুকা-র প্রস্তুতকারকের দাবি, এ বার বিশ্বকাপের বল অনেক বেশি নিখুঁত।
ব্রাজিল বিশ্বকাপ শুরুর চার সপ্তাহ আগে আডিডাস-এর ফুটবল ডিরেক্টর ম্যাথিয়াস মেকিং দাবি করেছেন, “ব্রাজুকা তৈরির সময় আমরা বলের গতিপথের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেছি। যার রেজাল্ট দেখিয়েছে, যে কোনও ধরনের শটই হোক, সমস্ত শটের গতিপথ ধারাবাহিক থাকবে। এলোমেলো হবে না। অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন ঘটবে না। দূরপাল্লার শটে বা ফ্রি-কিক, পেনাল্টি কিকে বল যে বাঁক নেবে সেটাও সামান্যই হবে। ব্রাজুকার মধ্যে কোনও রকম অস্বাভাবিকত্ব থাকবে না।”
তা সত্ত্বেও এরোডাইনামিক্স বিশেষজ্ঞরা ব্রাজুকা-র তিনটি বিষয় নিয়ে এখনও পুরোপুরি সন্দেহমুক্ত নন। এক) ফুটবলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বলের গা-টা কতটা খসখসে! যার উপর হাওয়ায় বলের গতিপথের পরিবর্তনের কম-বেশি নির্ভরশীল। দুই) বল কতটা স্পিন করতে পারে! যার উপর ‘বানানা কিক’-র মতো শটের নিঁখুত হওয়া নির্ভর করবে। তিন) বলের সিম কতটা মোটা বা সরু! যার উপর বলের মুভমেন্টের নিখুঁত হওয়া নির্ভর করবে।
এখন দেখার, কাসিয়াস-বুঁফো-ন্যয়ারের মতো মহাতারকা গোলকিপার কিংবা মেসি-রোনাল্ডো-নেইমারের মতো মহাতারকা স্ট্রাইকার, সবার মন কাড়তে পারে কি না ব্রাজুকা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy