বিশ্ব ফুটবলের প্রায় প্রতিটা ট্রফি জিতলেও বিশ্বকাপের সেই ঐতিহাসিক ট্রফি এখনও ‘অধরা’ স্বপ্ন। কিন্তু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও, ইউসেবিওর উপরে রোনাল্ডোর জায়গা হবে না, বলে দিলেন লুইস ফিগো। “আমাকে অনেক বার জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে রোনাল্ডো পর্তুগালের সর্বকালের সেরা কিনা। আমি বলব ইউসেবিওর উপরে কেউ নেই। তবে রোনাল্ডো আরও অনেক রেকর্ড ভাঙবে,” বলেন ফিগো। তবে ফিগো কিন্তু রোনাল্ডোর জন্য শর্তও রাখছেন একটা। বলে দিচ্ছেন, বিশ্বকাপ না জিততে পারলে পেলে, মারাদোনার পর্যায়ে সিআর সেভেনকে ধরা যাবে না। “অবশ্যই বিশ্বকাপ জিততেই হবে রোনাল্ডোকে। বিশ্বকাপ জয়ই কোনও ফুটবলারকে কিংবদন্তি করে দেয়। লোকে তোমায় মনে রাখবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসাবে। পর্তুগালের মতো ছোট দেশে সেই ট্রফি জেতা আরও ভাল হবে।”
ইতিমধ্যেই রোনাল্ডোকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে যে মহাতারকা চোটের কবল থেকে পুরোপুরি রক্ষা পাননি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেললেও পর্তুগালের ‘তুরুপের তাস’ নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। এই কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে তৈরি পর্তুগাল কোচ পাওলো বেন্তো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পরেই রোনাল্ডোর ফিটনেস পরীক্ষা করতে চান বেন্তো। বলেন, “আমার কাছে রোনাল্ডোর ফিটনেস নিয়ে কিছু তথ্য আছে। প্রতিদিনই রোনাল্ডোর শারীরিক অবস্থা নিয়ে রিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পর্তুগাল দলের ডাক্তাররা। শনিবার ও খেলে আসুক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। তারপর অনুশীলন শিবিরেই দেখব ও কতটা ফিট।” রোনাল্ডো আসার পরেই দলের ছক কষবেন বেন্তো। বলেন, “রোনাল্ডো আসার পরে ভাবব কী রকম ভাবে দল সাজাব। সঙ্গে রোনাল্ডোকে পুরোপুরি ফিট করার প্ল্যান বানানো হচ্ছে। যাতে কোনও সমস্যা ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলতে পারে ও।” দলে নানি, মুটিনহো, কোয়েন্ত্রাওরা থাকলেও, রোনাল্ডোর উপরেই নির্ভর করছে পর্তুগাল দলের ভাগ্য, সে কথা আরও মনে করিয়ে দিচ্ছেন বেন্তো। কোচের সংযোজন, “রোনাল্ডোর সঙ্গে অন্য কোনও ফুটবলারের তুলনা চলে না। এটা বলতে পারি যে রোনাল্ডোর মতো ফুটবলারকে যে কোনও দেশ নিজের দলে নিতে চাইবে।”
“আমার কাছে রোনাল্ডোর ফিটনেস নিয়ে কিছু তথ্য আছে।
প্রতিদিনই রোনাল্ডোর শারীরিক অবস্থা নিয়ে রিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে
পর্তুগাল দলের ডাক্তাররা। শনিবার ও খেলে আসুক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল।
তারপর অনুশীলন শিবিরেই দেখব ও কতটা ফিট।” —পাওলো বেন্তো
আর পর্তুগাল? দেশের পাশে ‘ফেভারিট’ তকমা না থাকলেও চিন্তিত নন বেন্তো। বরং মনে করছেন, বিশ্বকাপের ‘কালো ঘোড়াকে’ আটকাতে অনেক দলকেই ঘাম ঝরাতে হবে। বেন্তো বলেন, “আমরা বরাবর উন্নতি করে আসছি। সব সময় চেয়েছি প্রতিটা ম্যাচে আরও ভাল করে খেলুক দল। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি হিসাবে দলে নতুনত্ব আনতে চাইছি। এই বিশ্বকাপে অনেক দূর যেতে পারবে দল।” কঠিন গ্রুপে থাকলেও দলের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, সেই কথাই জানালেন বেন্তো। বলেন, “জার্মানির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচটা খুব কঠিন হবে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, অনেক দূর যাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy