গত কয়েকটি সিরিজে ভারত যতই ব্যর্থ হোক ২০১১-র বিশ্বকাপের তাজ ২০১৫-এ তারা ধরে রাখতে পারবে বলে মনে করছেন সচিন তেন্ডুলকর। বলা যায় এ নিয়ে প্রায় নিঃসন্দেহ ভারতরত্ন ক্রিকেটার। শুক্রবার নিজের নাম, ছবি ও সই-সহ বিশেষ রুপোর মুদ্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ রকমই বলেছেন অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার ব্লাস্টার।
“ভারতীয় দলে প্রতিভাবান আর বেশ কয়েক জন স্পেশ্যাল ক্রিকেটার রয়েছে এটা বলতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। জানি সমর্থকদের প্রত্যাশা মতো ফল সম্প্রতি আসেনি। তবে সেটা তো পাল্টাতেই পারে,” বলেন সচিন। সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, “একটা দলের ঠিক এই সময়েই সমর্থনটা বেশি করে প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়। যখন একটা টিম জেতে তখন একটা ইতিবাচক মানসিকতা থাকে। কিন্তু যখন কেউ হারতে থাকে কিন্তু এটা বুঝতে পারে যে, তার পাশে দেশের কোটি কোটি মানুষ আছে তখন প্লেয়ারের নেতিবাচক মনোভাবটাও ইতিবাচকে পাল্টে যায়। এখন সেটাই প্রয়োজন ভারতীয় দলের।”
২০১১-য় ঘরের মাঠে ধোনির বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য সচিন আরও বলেন, “এই টিমের উপর আমার পুরো আত্মবিশ্বাস রয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভাল সময় আসবেই।” কথা প্রসঙ্গে ২০০৩ বিশ্বকাপের সময় টিম একই রকম পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল বলে জানান কিংবদন্তি ক্রিকেটার। বলেন, “মনে আছে সেই বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠার আগে নিউজিল্যান্ড সফর খুব একটা ভাল যায়নি আমাদের। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও কিছু ম্যাচ হেরেছিলাম। তার পর আমরা টিমের সবাই ভাবতে শুরু করি যে, আমাদের পরিকল্পনায়, খেলায় বদল আনতে হবে। সেটা কাজে লেগে যায়।” সচিন আরও যোগ করেন, “ব্যর্থতাটাই সব নয়। ব্যর্থতা থেকে সাফল্য পর্যন্ত সফরটাই আসল। আর তার সঙ্গে জয়ের অভ্যাসটা তৈরি করতে হবে। যদি সঠিক পদ্ধতিটা অনুসরণ করা যায় ফলটা আপনিই আসে।”
অবসরের পর সময় কেমন কাটছে প্রশ্নে সচিন বলেন, “জীবন এখন ফুরফুরে। পরিবারের সঙ্গে এখন বেশি করে সময় কাটাতে পারছি। গত ২৪ বছরেও যে সেটা পারিনি তা নয়, তবে তখন মাথায় ঘুরত ম্যাচ খেলতে আমায় চেন্নাই, বেঙ্গালুরু বা কলকাতায় যেতে হবে আর নিজেকে প্রস্তুত করতে শুরু করে দিতাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy