ওয়েন রুনি এবং ডেভিড মোয়েস। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাব্য চিত্রনাট্যে দুই মুখ্য চরিত্র। যাঁদের উপর নির্ভরশীল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ভবিষ্যৎ।
প্রিমিয়ার লিগে ম্যান ইউ খেতাব দৌড়ে নেই। এফএ কাপ ও ক্যাপিটাল ওয়ান কাপেও জুটেছে হতাশা। ম্যান ইউ সমর্থকদের দুঃস্বপ্নের এই মরসুমে আশার আলো একটাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। শেষ ষোলোর প্রথম পর্বে অলিম্পিয়াকোসের মুখোমুখি হতে চলেছে ম্যাঞ্চেস্টার। যার চব্বিশ ঘণ্টা আগে একজোড়া প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলমহলে। এক, মোয়েস কি পারবেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যান ইউর ভাগ্য ঘোরাতে? দুই, ম্যান ইউর সবচেয়ে দামি ফুটবলার ওয়েন রুনি কি পারবেন ধারাবাহিক ভাবে সেরা পারফরম্যান্স দিতে?
শনিবার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে ২-০ জয়ে রুনির বিশ্বমানের গোল ছিল কেকের উপর আইসিং। যে জয়ের পরপরই অলিম্পিয়াকোসকে সর্তকবার্তা পাঠিয়ে দেন মোয়েস। বলেন, “অনেক দল আছে যারা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলতে চায় না।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমাদের লক্ষ্য শেষ ষোলোর বাধা টপকানো। তার পর দেখা যাক কী হয়।”
অন্য দিকে রুনি জানিয়ে দিলেন, পুরনো ক্লাবের সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করার পরে এখন তাঁর পুরো ফোকাস নিজের সেরা খেলাটা দেওয়ার উপর। গ্রিস উড়ে যাওয়ার আগে তিনি বলে দিলেন, “নতুন চুক্তি সই যদি না-ও করতাম, তা হলেও মাঠে একশো দশ শতাংশ দিতাম।” শেষ ষোলোর প্রথম পর্বটাই গুরুত্বপূর্ণ হবে ম্যান ইউর ভাগ্য নির্ধারণের জন্য, সেটা জানিয়ে দলের জাপানি তারকা শিনজি কাগাওয়া বলেন, “শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেলে অ্যাওয়ে ম্যাচটায় ভাল ফল পেতে হয়। আমার বিশ্বাস ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে অনেক ভাল ফুটবলার আছে যারা গ্রিস থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসতে পারবে।”
তবে ম্যাঞ্চেস্টার শিবির যতই আত্মবিশ্বাসী থাকুক না কেন, ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে যে, পরের মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে হলে এ বছর টুর্নামেন্ট জিততেই হবে ম্যান ইউকে। কারণ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম চারে শেষ করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে ম্যান ইউর জন্য। তারা এই মূহুর্তে ছয় নম্বরে রয়েছে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে। যে প্রসঙ্গে মোয়েস বলেন, “সব সময় ভাল দলই ফাইনালে ওঠে না। ২০০৫ সালে এসি মিলানকে যে ভাবে লিভারপুল হারিয়েছিল, তার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। যে কোনও কাপ প্রতিযোগিতায় সব ক্লাবেরই সুযোগ থাকে জেতার।” ওয়েন রুনি ও রবিন ফান পার্সি দলে থাকলেও, ‘কাপ টাইড’ হওয়ার জন্য খেলতে পারবেন না স্প্যানিশ তারকা হুয়ান মাতা।
মোয়েসের চিন্তার আরও একটা কারণ হতে পারে একটা পরিসংখ্যান। তা হল, এই মরসুমে এখনও ঘরোয়া লিগে হারেনি অলিম্পিয়াকোস। দলের কোচ মিচেল গঞ্জালেজ সাফ জানিয়ে দিলেন, “আমাকে পাগল বলতে পারেন। কিন্তু আমার বিশ্বাস আমরা এই ম্যাচটা জিততে পারি।”
টুকিটাকি
এই মরসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের পাস সবচেয়ে বেশি রুনির (৬)।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ বার ম্যান ইউ এখন পর্যন্ত অপরাজিত। গ্রুপ পর্বে মোয়েসের দল ৪ ম্যাচ জিতেছে ও ২ ম্যাচ ড্র করেছে।
মোট ছয় গ্রুপ ম্যাচে ১২ গোল করেছে ম্যান ইউ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪ বার মুখোমুখি হয়েছে অলিম্পিয়াকোস ও ম্যান ইউ। ৪টে ম্যাচই জিতেছে ম্যান ইউ।
আজ টিভিতে
অলিম্পিয়াকোস বনাম ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (টেন অ্যাকশন, রাত ১-১৫)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy